সমকালীন প্রতিবেদন : ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ফাইনালে উঠে গেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। সেমি ফাইনালে ওডিশা এফসি'র বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়লাভ করেছে মোহনবাগান। এই ম্যাচে মেরিনার্সদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন জেসন কামিন্স এবং সাহাল আবদুল সামাদ।
সেদিন গোটা সল্টলেক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৬২,০০০ দর্শক উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। রবিবাসরীয় ম্যাচে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে উপচে পড়া ভিড় দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, সেটা থেকে আর আলাদা করে কলকাতার ফুটবল প্রেমকে ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।
আগামী শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। আবার ঘরের মাঠে খেলতে নামবে মোহনবাগান। তাই সমর্থনের কোনও অভাব হবে না। সেই কারণেই জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না দলের কোচ হাবাস। হাবাস জিততে চান সমর্থকদের জন্য।
বাগান কোচ জানেন, সেমি ফাইনালে যে পরিমাণ দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিলেন, ফাইনালে হয়তো তার থেকেও বেশি ভিড় হবে। সমর্থকেরা যেভাবে প্রতি ম্যাচে দলের পাশে থেকেছেন, তার জন্য তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি।
যদিও এর আগেও কোচ হিসাবে আইএসএল জিতেয়েছেন হাবাস। আবার একটি ফাইনালে তিনি। আরও একটি দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে চান ভারতীয় ফুটবলে পোড়খাওয়া এই কোচ। যুবভারতীতে ওড়িশাকে হারিয়ে উঠেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
তাই হয়তো সেমিফাইনাল জেতার পর হুঙ্কারের সুরে সবুজ মেরুন কোচ হাবাস বলেন, 'পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। ফাইনালে সামনে যে দলই থাকুক না কেন, আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামব।' উল্লেখ্য, গতবার জুয়ান ফেরান্দোর তত্ত্বাবধানে প্রথমবার আইএসএল ট্রফি এসেছিল গঙ্গাপারের তাঁবুতে।
আরও একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন পেত্রোতোসরা। আইএসএলের 'লাকি' কোচ হাবাসের হাত ধরে লিগ শিল্ডের পর ফের ট্রফিও ঘরে তুলবে মোহনবাগান। আর তাতেই দলের সোনালি সফরের বৃত্ত সম্পন্ন হবে।
সেমি ফাইনালে জয়লাভের রাত থেকেই এমন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন বাগান ভক্তরা। কিন্তু ভক্তদের এই আশা কি পূরণ হবে? আবার কি টুর্নামেন্টের ট্রফি হাতে শহর মাতাবে মোহনবাগান? উত্তরটা পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকটা দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন