Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

মতুয়া মেলায় ১৪৪ ধারা জারির আবেদন, ঠাকুরবাড়ির বিবাদ ফের প্রকাশ্যে

 

Matua-mela

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌এবছরের মতুয়া ধর্ম মেলা শুরু হওয়ার আগের মুহূর্তে ঠাকুরবাড়ির অন্দরের বিরোধ ফের মাথা চাড়া দিল। মেলা প্রাঙ্গণে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য মমতা ঠাকুর আদালতের কাছে আবেদন জানালেন। আর তাকে কেন্দ্র করেই এই বিরোধ ফের প্রকাশ্যে চলে এলো।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সবথেকে বড় ধর্মীয় মহা মেলা এবছর শুরু হচ্ছে ৬ এপ্রিল থেকে। বারুণীর মেলা নামে পরিচিত এই মেলার বয়স প্রায় ৭০ বছর।

এই মেলাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরবাড়ি সহ গোটা ঠাকুরনগর এলাকায় মহা মিলন উৎসব শুরু হয়ে যায়। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ভিন দেশ থেকেও হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত এইসময় ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন। ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে মেলাও বসে।

এবছরের এই মেলা শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগেই এই মেলায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানালেন সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। আদালতে তিনি শান্তনু ঠাকুর এবং আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ১ এপ্রিল আদালত এই মেলা প্রসঙ্গে গাইঘাটা থানার পুলিশ এবং গাইঘাটা ভূমি রাজস্ব দপ্তরকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ঠাকুরবাড়ির দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছে।

মঙ্গলবার এব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের আর এক পক্ষের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া মেলা আয়োজনে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। 

শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, '‌এই মেলাটি গত ৭০ বছর ধরে ঠাকুরনগরে আয়োজিত হচ্ছে। এটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের আবেগের জায়গায়। আর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে সেই আবেগে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

তাঁর আরও অভিযোগ, 'মেলায় যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকে, তা নিয়েও চক্রান্ত করে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হ‌য়েছে, তারা বিদ্যুৎ দিতে পারবে না।' এতোকিছুর পরেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শান্তনু।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুর বলেন, '‌মেলাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। এতে মতুয়া মেলাতে আসা ভক্তদের কোন অসুবিধা হবে না। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ।' 

তিনি আরও বলেন, 'মেলাতে একটি লাইসেন্স থাকবে। সেখানে দুটি লাইসেন্স কি করে হয়। লাইসেন্স দেখিয়ে মেলায় আগত দোকানদারদের কাছ থেকে বিল কেটে টাকা তোলা হচ্ছে। এতে দোকানদারেরা অসন্তুষ্ট। আর তাই যাদের অধিকার নেই, তাদের যেন বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়া হয়, তার আবেদন করা হয়।'‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন