সমকালীন প্রতিবেদন : একটানা তিন ম্যাচ জিতে প্রবল আত্মবিশ্বাসী ছিল নাইটরা। তাই চতুর্থ ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে ছিল রাসেল-নারিনরাই। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিল সোমবারের ম্যাচ। চেপকের মাঠে হলুদ ব্রিগেডের কাছে আত্মসমর্পণ করলো মেন ইন পার্পল। কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমবার চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের অন্যতম বড় কারণ হল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ফিল সল্ট থেকে শুরু করে অঙ্গকৃষ রঘুবংশী, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল কেউই বড় রান করতে পারেননি।
যার ফলে কোনও বড় পার্টনারশিপও গড়ে ওঠেনি। ব্যাটারদের মধ্যে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। দলের খারাপ সময়ে হাল ধরে বড় স্কোরে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতা নেই কেকেআর ব্যাটারদের।
ভালো খেললে, সবাই ভালো খেলে দেন। আর যেদিন খারাপ থাকে, সেদিন কেউই উইকেটে টিকতে পারেন না। একসঙ্গে সকলে ব্যর্থ হন। এই জায়গাটি পরিবর্তন না করলে, আগামী দিনে কপালে দুঃখ আছে।
কেরেআরের হারের আরও একটি বড় কারণ হল, অতিরিক্ত স্লো এবং রক্ষণাত্মক ব্যাটিং। গত ম্যাচে নাইটদের মধ্যে বড় স্কোর গড়তে পারেনি কেউই। নাইট রাইডার্সের হারের জন্য দায়ী দুর্বল বোলিংও।
পাওয়ার প্লেতে অত্যন্ত সাধারণ মানের বোলিং হচ্ছে। অল্প রান করেও অনেক সময় ম্যাচ জেতা যায়। তার জন্য শুরুতেই উইকেট নেওয়াটা প্রয়োজন। যে কাজটাই করতে পারছেন না স্টার্ক। আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার হয়েও, তাঁর পারফরম্যান্স নিম্নমুখী।
স্টার্কের ছন্দে না থাকাটা কেকেআর-এর জন্য বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্পিনাররা উইকেট পেলেও, প্রতিপক্ষের রানের গতি আটকাতে পারছেন না। স্টার্ক ছন্দে না ফিরলে, ডুবতে হবে কেকেআর-কে।
এবারের আইপিএলে প্রথম ৩ ম্যাচ জিতলেও, কেকেআরের ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। সিএসকের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে দু'টি ক্যাচ খেলে নাইটরা। স্বভাবতই এই জায়গারও উন্নতি প্রয়োজন।
তবে এইসব দুর্বলতা কাটিয়ে নাইটরা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি টুর্নামেন্টে কামব্যাক করতে চলেছে। এটাই চাইছেন নাইট দলের প্রতিটি সমর্থক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন