সমকালীন প্রতিবেদন : কয়েকমাস আগেই ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে উত্তপ্ত হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য। হামাসকে শান্ত করে কয়েকমাস বন্ধ ছিল যুদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধের নেশা যেন পেয়ে বসেছে ইজরায়েলকে। তাই গত ১ এপ্রিল ফের যুদ্ধের দামামা বাজায় মার্কিন মদদপুষ্ট ইহুদি দেশটি।
ওইদিন সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেটে প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েল। তাতে সেনা আধিকারিক-সহ বেশ কয়েকজনের প্রাণ হানি হয়। সেই থেকে দুই দেশের মধ্য লাগাতার পারদ চড়ছিল। পশ্চিম এশিয়ার ভূরাজনীতিতে আরও একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দেয়।
শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইজরায়েলের দাবি, ৩০০ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় রকেট ছোড়ে ইজরায়েল, যার মধ্যে অধিকাংশকেই প্রতিহত করতে পেরেছে তারা।
খাতায়কলমে যুদ্ধ বলে ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান, যা নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল আন্তর্জাতিক মহল। হয়তো এখান থেকেই সূচনা হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের।
কারণ, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, এই আক্রমণ আঞ্চলিক শত্রুদের মধ্যে একটি সমস্যা বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গোটা পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করতে দেখা যায় আমেরিকাকে।
তবে ইরান হামলা চালালে সহযোগী দেশ ইজরায়েলের পাশেই দাঁড়ায় তারা। যদিও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের পক্ষপাতী নন তাঁরা।
এদিকে আবার ইরাকের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে, ইরান থেকে ইরাকের আকাশসীমার উপর দিয়ে ইজরায়েলের দিকে কয়েক ডজন ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, ইরান দামাস্কাসের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আবার ইরানের পরমাণু বিভাগেও শুরু হয়েছে তদারকি। তাহলে কি পরমাণু হামলার প্ল্যান করছে ইরান? এমনটা হলে কি ফের একটা বিশ্বযুদ্ধ? উত্তর না থাকলেও সব মিলিয়ে যেন যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত গোটা বিশ্বও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন