সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে হেরেছে কোহলির আরসিবি। তবে হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে আরসিসিবি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের রানের পাহাড় টপকাতে পারেনি আরসিবি। তবে ম্যাচ হারলেও এদিন একাধিক রেকর্ড গড়েছে কোহলির দল। একইসঙ্গে একঝাঁক রেকর্ড তৈরি করেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও।
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক টিম টোটাল করল সানরাইজার্স। এই ম্যাচে তারা ২০ ওভারে করে ২৮৭ রান। তিন সপ্তাহ আগে ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ করেছিল সানরাইজার্স। নিজেদের রেকর্ডই ছাপিয়ে গেল তারা।
যদিও পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর। কারণ, পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড রয়েছে নেপালের। এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। তবে এবারের আইপিএলের এই ম্যাচেই হল সর্বাধিক রান।
এই ম্যাচে মোট ৫৪৯ রান হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এটিই সর্বাধিক রান। এছাড়াও, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ইনিংসে মোট ২২টি ছক্কা মারা হয়, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বাধিক। এর আগে এক ইনিংসে ২১টি ছয়ের রেকর্ড ছিল আরসিবির দখলে।
তবে রেকর্ডের দিকে পিছিয়ে নেই কোহলির আরসিবি-ও। কারণ, সানরাইজার্সের দেওয়া ২৮৮ রানের টার্গেট নিয়ে আরসিবি করে ২৬২ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হারের ক্ষেত্রে এটিই সর্বাধিক স্কোর। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে।
গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৫৮ করেও হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়াও, আরসিবি একটি লজ্জার রেকর্ডও তৈরি করেছে এই ম্যাচে। কারণ, এই ম্যাচে আরসিবির চার পেস বোলারই ৫০-এর বেশি রান দিয়েছেন।
পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই প্রথম ৪ বোলার ৫০-এর বেশি রান দিলেন। আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে অতীতে দু-জনের বেশি ৫০-এর উপর রান দেননি।
এছাড়াও, আরসিবির বিরুদ্ধে মোট ১৩টি সেঞ্চুরি হল। আইপিএলে এক দলের বিরুদ্ধে এটিই সর্বাধিক। এই লজ্জার রেকর্ডে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ছাপিয়ে গেল আরসিবি। সব মিলিয়ে এই ম্যাচটি ছিল ঐতিহাসিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন