সমকালীন প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতের দূরত্ব এবার আরও কমলো। জাতীয় সড়কে মাত্র ১০ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গে। এ যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের মধ্যে চার লেনের ঝাঁ চকচকে সড়কের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যার কারণে শিলিগুড়ির সঙ্গে খড়্গপুরের দূরত্ব কমবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
রাস্তা তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে 'ভারতমালা' প্রকল্পে দক্ষিণবঙ্গের খড়্গপুর থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পর্যন্ত চার লেনের ইকোনমিক করিডোর তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে ইতিমধ্যে সেই কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থেকে হুগলী, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মোরগ্রাম হয়ে এই রাস্তা উত্তরবঙ্গে পৌঁছবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, এই ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কটি জাতীয় সড়ক নম্বর ৬০, ৩৪ এবং শেষে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছবে।
এর ফলে খড়্গপুর এবং মোরগ্রামের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব কমবে। পূর্বে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে ৬০ কিংবা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে শিলিগুড়ি যেতে প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করতে হতো। এর জন্য সময় লাগে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা।
নতুন ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কারণে ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি দূরত্ব কম হবে। আর এর ফলে শিলিগুড়ি পৌঁছানো যাবে মাত্র ১০ ঘন্টায়। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এই সড়কের জন্য ছাড়পত্র মিলেছে।
সড়ক তৈরিতে মোট খরচ হবে প্রায় ১০,২৪৭ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ডিপিআরও তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর মোট ৩০৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।
অন্যদিকে, জাতীয় সড়ক ৬ এবং জাতীয় সড়ক ৩৪ হয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার দূরত্ব ৩৪৮ কিলোমিটার। যেখানে হামেশাই যাত্রীদের ট্রাফিকের সমস্যায় পড়তে হয়। এমতাবস্থায় ইকোনমিক করিডোর তৈরি হলে দক্ষিণ থেকে উত্তরের দূরত্ব কমে হবে মাত্র ২৩১ কিলোমিটার। যার কারণে উপকৃত হবেন যাত্রীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন