সমকালীন প্রতিবেদন : ট্রেন চালানোর বিষয়ে বাংলায় এতদিন পিছিয়ে ছিলেন মেয়েরা। কিন্তু এক সাধারণ গৃহবধূ হয়েও এক অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছেন দীপান্বিতা দাস। লোকো পাইলটের আসনে বসে খড়গপুর থেকে একটি লোকাল ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যান হাওড়া স্টেশনে।
আর তার মাধ্যমেই তিনি গড়ে ফেলেন এক অনন্য রেকর্ড। বাংলার প্রথম মহিলা ট্রেন চালক হিসেবে লেখা হয় তাঁর নাম। কিন্তু কে এই দীপান্বিতা দাস? কেমন তাঁর বাস্তবিক জীবন? এককথায় বললে, এক সাধারণ গৃহবধূ হয়ে অসাধারণ হয়ে ওঠার আরেক নাম দীপান্বিতা দাস।
তিনি ২০০৩ সালে আদ্রা ডিভিশনের আনাড়াতে রেলের চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালে খড়গপুর ডিভিশনে বদলি। ২০১৪ থেকে পণ্যবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট হিসেবে কাজ শুরু। দশ বছর মালগাড়ি চালানোর পর প্রোমোশান পেয়ে তিনি পেয়েছেন যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব।
এদিকে, দীপান্বিতা দেবীর খড়্গপুরের বাড়িতে রয়েছে তাঁর পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে। স্বামীও রেলেই চাকরি করেন। ট্রেন চালাতে হলেও বাড়ির কাজে ফাঁকি নেই দীপান্বিতার। কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে পরেন তিনি।
এরপর রান্নাবান্না সেরে সবাইকে খাইয়ে কোনওরকমে নিজে কিছু মুখে দেন। তার পর ব্যাগ কাঁধে দৌড় স্টেশনের দিকে। সঙ্গের টিফিন বাক্সে থাকে দুপুরের খাবার। একটু সময় পেলে কেবিনে বসেই খেয়ে নেন বাড়িতে বানানো খাবার।
এর আগে এক দশক সময় ধরে পণ্যবাহী ট্রেন চালিয়েছেন দীপান্বিতা দেবী। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছেন নানা ধরনের। এবার পদোন্নতি পেয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের আসনেও বসে গেলেন দুই সন্তানের মা দীপান্বিতা।
নিজের এই অগ্রগতিতে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রথম মহিলা যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকের। বাংলার বুকে এই কীর্তি করে নজির গড়লেন দীপান্বিতা দাস। হয়তো অনেক মহিলার কাছে তিনি হয়ে উঠবেন একটুকরো অনুপ্রেরণা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন