সমকালীন প্রতিবেদন : বাঙালির ভাতের পরে দ্বিতীয় প্রিয় খাবার রুটি। রুটি খাওয়ার সময় আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি যে, রুটি যখন স্যাঁকা হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ওঠে। কিন্তু কেন এমন হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে আমাদের যেতে হবে রুটির গঠনের দিকে।
রুটি তৈরির প্রধান উপাদান হল আটা বা ময়দা। আটা বা ময়দার মধ্যে প্রোটিন থাকে। যখন আটা বা ময়দার সঙ্গে জল মিশিয়ে মাখানো হয়, তখন এই প্রোটিনগুলি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নমনীয় স্তর তৈরি করে। এই স্তরকে লাসা বা গ্লুটেন বলা হয়।
গ্লুটেনের প্রধান বিশেষত্ব হল, সে নিজের ভেতরে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে সক্ষম। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয় দুটি উপায়ে। প্রথমত, আটা বা ময়দার মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি খাদ্যবস্তু ভেঙে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, আটা বা ময়দার সঙ্গে খামির মিশিয়ে দিলে খামিরও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে। রুটি যখন আগুনে স্যাঁকা হয়, তখন গ্লুটেনের ভিতরে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বেরিয়ে এসে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করে।
এতে রুটির উপরি ভাগে চাপ সৃষ্টি হয় এবং এটি ফুলে ওঠে। তবে যতটা বেশি পরিমাণে গ্লুটেন থাকবে, রুটি তত বেশি ফুলে উঠবে। তাই, রুটি ফোলার মূল কারণ হল গ্লুটেনের ভেতরে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস। এই গ্যাস বেরিয়ে এসে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করলে রুটি ফুলে ওঠে।
* এবার জেনে নিন রুটি ফোলানোর জন্য কিছু টিপস :
* প্রথমত রুটি ফোলানোর জন্য ভালো মানের আটা বা ময়দা ব্যবহার করতে হবে। আটা বা ময়দার মধ্যে বেশি পরিমাণে গ্লুটেন থাকলে রুটি ভালোভাবে ফুলে উঠবে।
* রুটি মাখার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল ব্যবহার করুন। জল কম হলে রুটি শক্ত হয়ে যাবে এবং ফুলবে না।
* রুটি মাখার পর তা কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এতে রুটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া বা খামিরগুলো ভালোভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি করতে পারবে।
* রুটি স্যাঁকার সময় তাওয়া ভালোভাবে গরম করে নিন। এতে রুটি দ্রুত স্যাঁকা হবে এবং ভালোভাবে ফুলে উঠবে।
এই টিপসগুলি মেনে চললে আপনিও ফুলকো রুটি বানাতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন