সমকালীন প্রতিবেদন : বুধবার সকালেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়ল তাইওয়ান। এদিন সকালে এই দেশের মাটি কেঁপে উঠল ৭.৪ রিখটার স্কেল মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে। তাইওয়ানের পাশাপাশি ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভব করেছে দক্ষিণ জাপান এবং ফিলিপিন্সও।
এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ৫০। তবে অসংখ্য প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জেরে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। এদিন স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ঠিক সকাল ৮টা নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ান।
এই ভূকম্পনের এপিসেন্টার ছিল দক্ষিণ তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১১ মাইল অর্থাৎ ১৮ কিলোমিটার দূরে। এর গভীরতা ছিল ৩৪.৮ কিলোমিটার। কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে।
স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গিয়েছে পূর্ব তাইওয়ানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হুয়ালিয়েনের একাধিক বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে। রাস্তা মাঝখান থেকে দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই।
যেখানে কম্পনের ভয়াবহতা বোঝা গিয়েছে। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ঝাঁ চকচকে আবাসন সামনের দিকে পুরোপুরি হেলে গিয়েছে। আশপাশ থেকে ধুলো উড়ছে।
অপর একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বিশাল বড় আবাসন বা বাড়ি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেলে যেমন ধুলোর ঝড় ওঠে, তেমনটাই হচ্ছে। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি লেগে যায় দেশজুড়ে।
এদিকে, জাপানের মৌসম বিভাগ ইতিমধ্যেই সুনামির লাল সতর্কতা জারি করেছে। জাপানের বন্দর শহরগুলিতে তিন মিটার উঁচু সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মিয়াকোজিমা দ্বীপ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চলতি দশকের মধ্যে তাইওয়ানে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। তাই এর জেরে যদি সুনামি হয়, তাহলে তার ধ্বংসলীলা আরো মারাত্মক হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন