সমকালীন প্রতিবেদন : গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল মুরগির একটি ফার্ম। ফার্মে থাকা প্রায় ১৩০০ বাচ্চা মুরগি আগুনে ঝলসে মারা গেছে। ভস্মীভূত হয়েছে একটি মোটর সাইকেলও। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যান্যদিনের মতো সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত খামারে কাজ করে একটু দূরে নিজের বাড়িতে ফিরে যান মুরগির খামারের মালিক রবিন মন্ডল। খামারের ভেতরেই তার মোটরবাইক এবং খামারের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখা থাকে।
গভীর রাতে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তিনি খবর পান যে, তার মুরগির খামারে আগুন লেগে গেছে। খবর পেয়েই দ্রুত তিনি সেখানে হাজির হন। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান তিনি। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় আগুন আয়ত্বে আসে।
যদিও ততক্ষণে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গোটা মুরগির খামারটি। সেখানে থাকা মোটরবাইক, কাগজপত্র সহ মুরগির বাচ্চা আগুনে পুড়ে ঝলসে যায়। এই ঘটনায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খামারের মালিক রবিন মন্ডলের দাবি।
রবিন মন্ডল জানান, এই মুরগি পালনের উপরেই তাঁর সংসার চলে। সেখানে এমন আগুন লাগার ঘটনায় আর্থিকভাবে তিনি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হলেন। মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপন হাওলাদার। তিনি বলেন, রবিন মন্ডলের কোনও শত্রু আছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত নন। ফলে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়ে এই ক্ষতি করবে, এমন সম্ভাবনা খুব কম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে এলাকায় এই মুরগির খামারটি ছিল, সেখানে দমকলের গাড়ি পৌঁছানো অসম্ভব ছিল। ফলে এতোবড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও সেখানে দমকল বাহিনী পৌঁছাতে পারে নি। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা করতে পারেন নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন