সমকালীন প্রতিবেদন : দলের কোন নেতা, কর্মী সংকটের সময়ে দল পাশে দাঁড়ায় না দল ছাড়া পর এমনই মন্তব্য করলেন ভারাক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। দলের সুপ্রিমোহ হিসেবে মমতা ব্যানার্জিকেও সমালোচনা করতে ছাড়লেন না তাপস রায়।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে রাজনৈতিক ময়দানে একের পর এক চমক ঘটছে। রবিবার ই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। পরিবর্তে তিনি বৃহত্তর ক্ষেত্রে পদার্পণ করছেন।
এর দুদিন আগেই তৃণমূলের মুখপাত্র এবং দলের সাধারণ সম্পাদক পথ থেকে ইস্তফা দেন কুনাল ঘোষ। দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন কুনাল ঘোষ। তাঁর কথার মধ্যেও দলের বিরুদ্ধেও তাঁর ক্ষোভ বেরিয়ে আসে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার রেষ কাটতে না কাটতেই সোমবার তৃণমূল দল সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করলেন উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর এর তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সাথে যুক্ত থাকা এই নেতার দলত্যাগের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে।
দলত্যাগের ঘোষণার আগে তার সঙ্গে কথা বলতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। কিন্তু তাতে বরফ গলে নি শেষ পর্যন্ত তিনি দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা যথেষ্ট নাড়া দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় স্পিকারের সামনে হাজির হয়ে বিধায়ক পথ ছাড়েন তাপস রায়। পয়লা মার্চ তিনি দলের পর থেকে পদত্যাগ করেন। আর আজ বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন। সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই খবরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপর ৫২ দিন কেটে গেলেও দলের পক্ষ থেকে কেউ ফোন করে তাঁর বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেনি বলে দাবি করেছেন তাপস রায়। এই ঘটনা তাঁকে ব্যথিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তাপসবাবু।
তিনি অভিযোগ করেন, 'এই দলে যাদের বহিষ্কার করা উচিত, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। আরো বড় বিষয়, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধানসভায় বক্তব্য রাখছিলেন, তখন আমার বাড়ি ইডি অভিযানের কথা উল্লেখ করেননি, শেখ শাহজাহানের বিষয়টি উত্থাপন করলেন। এটা খুবই দুঃখজনক।'
তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'প্রতিদিন একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। বিধানসভার ভেতরে –বাইরে বা যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই ক্ষোভের সামনে পড়েছি। আমি মনে করলাম, আমার আর যাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস আমার জন্য নয়। এখানে আমার থাকা উচিত নয়।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন