সমকালীন প্রতিবেদন : রাতের অন্ধকারে এলাকার একাধিক সারমেয়কে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠলো। ঘটনার বিচার চেয়ে থানার দ্বারস্থ হলেন সমাজ সচেতন এক স্কুল শিক্ষিকা৷ বনগাঁর দীনবন্ধুনগর এলাকার এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জীবে প্রেম তো দূরের কথা, অবলা পশুদের প্রাণ নিতে রাতের অন্ধকারে খাবারে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বনগাঁর দীনবন্ধু নগর এলাকায়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কার খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এলাকার সমস্ত সারমেয় খাইয়ে দেয়।
সেই বিষ মাখানো খাবার খেয়ে তিনটি সারমেয় মারা যায়। অসুস্থ হয় বেশ কয়েকটি বাচ্চা সারমেয়। সকালে এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা রায় প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তার বাড়ির সামনে তিনটি সারমেয়র মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি সারমেয়কে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখে তিনি অনুমান করেন যে, তাদেরকে বিষ দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পশুপ্রেমীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একইসঙ্গে পশু চিকিৎসকে খবর দেন সুস্মিতা দেবী। অসুস্থ সারমেয়গুলির চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনার পর সুস্মিতা দেবি বিষয়টি বনগাঁ স্ট্রিট ডগ নামে একটি পশুপ্রেমী সংগঠনকে জানালে, তারাই উদ্যোগ নিয়ে এলাকার বিষ খাবার খাওয়া অসুস্থ সারমেয়দের চিকিৎসা করে। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি সুস্মিতা দেবি।
বিচার চেয়ে বনগাঁ থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই অমানবিক কাজের নিন্দা করেছেন এলাকার মানুষ।
এব্যাপারে সুস্মিতা রায় জানান, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে সময় মতো জানতে পেরে এলাকার সারমেয়গুলিকে বাঁচানো গিয়েছিল। এবার আর সে সময় পাওয়া গেল না। কে বা কারা এই ঘটনা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঘটিয়েছে বলে অনুমান তার।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বনগাঁ স্ট্রিট ডগ এর সদস্য তন্ময় দাস বলেন, 'স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে আপরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেখি, বিষক্রিয়ায় ৩ টি পথ কুকুর মারা গেছে। আরও বেশ কয়েকটি ছোট, বড় সারমেয় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন