সমকালীন প্রতিবেদন : সারা বিশ্বে হাজার হাজার প্রজাতির সাপ রয়েছে। প্রত্যেক প্রজাতির সাপের মধ্যে রয়েছে তাদের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব৷ তবে একটি বিশেষ কাজ রয়েছে, যা কোবরা বা কেউটে প্রজাতির সাপ ছাড়া অন্য সাপেরা তেমন পারে না৷ সেই কাজটি হল ফণা তোলা।
সামনের প্রাণীকে ভয় দেখানোর জন্য কোবরা বা কেউটে প্রজাতির সাপেরা শরীরের সামনের অংশ হঠাৎ করেই মাটি থেকে তুলে খাড়া করে দেয় এবং ফণা তুলে শব্দ করে৷ এই ফণা তাদের মাথা থেকে গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকতে পারে৷
কোনও কোনও সাপের ক্ষেত্রে ফণার উচ্চতা প্রায় আড়াই ফুট পর্যন্ত পৌঁছে যায়৷ কিং কোবরার ক্ষেত্রে এই উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট৷ কিন্তু বাকি সাপ কেন পারেনা এই কাজ? কী কারণে শুধুমাত্র কিছু সাপই ফণা তুলতে সক্ষম? এর জন্য কিন্তু রয়েছে বিশেষ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া৷ সেটি কি? এবার জেনে নেওয়া যাক।
কোবরা প্রজাতির সাপই একমাত্র সাপ, যারা উত্তেজিত হলে ফণা তুলে শত্রুকে শাঁসানি দিতে পারে৷ আবার যখন এরা মাটিতে এঁকে বেঁকে চলে, তখন লুকিয়ে ফেলে তাদের ফণা৷ আসলে এই হুড বা ফণার তৈরির নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে৷
সম্প্রতি, ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির ব্রুস ইয়ং এবং ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির কেনেথ কার্ডং-এর মতো বিজ্ঞানীরা কোবরার হুড এবং কীভাবে তৈরি হয় তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় দেখা গেছে, হুড তৈরির প্রক্রিয়া মাথা থেকে শুরু হয় এবং মাংসপেশির মাধ্যমে ক্রমশ গলা হয়ে নীচের দিকে চলে যায়।
পাঁজরের সাথেও কিছু সংযুক্ত পেশী থাকে, যা ফণাকে টানটান অবস্থায় রাখে। এর সঙ্গে কিছু নির্দিষ্ট স্নায়ুর প্রভাবও থাকে৷ তাই যখন কোবরা বা কেউটে তার ফণা তোলে, তখন ফণা তোলা সংক্রান্ত পেশীগুলিকে বেশি কাজ করে।
এই কারণে, কোনও কোবরা তার ফণা বেশিক্ষণ ছড়িয়ে রাখতে পারে না এবং তাকে বিশ্রাম দিতে হয়। তারপর ফণাটি নামিয়ে নিতে হয়। তবে কেউটে ছাড়া অন্যান্য সাপেদের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও পেশি বা স্নায়ু কাজ করে না৷
ফলে তারা ফণা তুলতে পারে না৷ পেশী নিয়ন্ত্রণ করে মাথার নীচ বা গলার চামড়া পাতলা করে ছড়িয়ে ফণা তোলার ক্ষমতাও তাদের নেই৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন