Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪

এক মাসে কত টাকা অনুদান এসেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে?

 

Ram-Temple

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌গত মাসের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ২৩ তারিখ থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল রাম মন্দিরের দরজা। রামলালার দর্শনে অগণিত ভক্তদের ঢল নেমেছিল পরদিন থেকেই। 

প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রামলালার দর্শনে ৬০ লক্ষের বেশি ভক্তের সমাগম হয়েছে। এই বছর রামনবমীতে প্রায় ৫০ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটতে পারে বলে আশা রাখছেন ট্রাস্টের কর্তারা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকার অনুদান জমা পড়েছে রাম মন্দিরে। 

শুধু নগদ টাকা নয়, রয়েছে ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার, চেক, ড্রাফ্ট। এছাড়া, ট্রাস্টের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অনলাইনেও টাকা পাঠিয়েছেন অনেকে, যা এখনও পর্যন্ত গোনা হয়নি। 

ট্রাস্টের কর্তারা জানিয়েছেন, ভক্তরা রামলালার জন্য এমন কিছু সোনা ও রুপোর জিনিস দান করেছেন, যা শ্রীরামের জন্মভূমি অর্থাৎ মন্দিরে ব্যবহার করা যাবে না। 

তবে ভক্তদের কথা বিবেচনা করে এইগুলোকে ব্যাঙ্কের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে এগুলিকে বিক্রি করে নগদে পরিণত করা হবে। বিপুল অঙ্কের টাকার হিসাব রাখতে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শরণাপন্ন হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

ইতিমধ্যে মন্দিরে চার চারটি অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের স্বয়ংক্রিয় টাকা গোনার মেশিন বসানো হয়েছে। রসিদ দেওয়ার জন্য ট্রাস্টের তরফে ১২টি কম্পিউটারাইজড কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত দানবাক্স। 

ভবিষ্যতে রাম মন্দির চত্বরে একটি বড় এবং সুসজ্জিত গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে। তবে সোনা, রূপো ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের দায়ভার বহন করবে ভারত সরকার। অনুদানের বিষয়ে ট্রাস্টের তরফে এসবিআইয়ের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করা হয়েছে। 

মউ অনুসারে, রাম মন্দিরে যে সকল অনুদান, চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ জমা পড়বে, তা সংগ্রহ করবে এসবিআই। পরবর্তী সময়ে সেই সবকিছু ব্যাঙ্কে জমা করার দায়িত্বও বর্তেছে তাদের উপর। আপাতত এসবিআইয়ের কর্মীরা দিনে দুবার করে নগদ অনুদান গণনা করছেন।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন