সমকালীন প্রতিবেদন : রেলে চাকরি পাওয়ার আশায় বড় ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বাগদার এক ব্যক্তি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর ছত্তিসগড় রাজ্য থেকে প্রতারককে গ্রেপ্তার করে আনলো বাগদা থানার পুলিশ। এটি একটি আন্ত:রাজ্য প্রতারণা চক্রের কান্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা এক ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় রেলের বিলাসপুর ডিভিশনের একজন টিকিট পরীক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাগদার ওই ব্যক্তিকে রেলে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। নিজের দাবির সমর্থনে রেলের একটি পরিচয়পত্রও দেখায় ওই ব্যক্তি।
চাকরি পাওয়ার আশায় ওই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে তার কথামতো ধাপে ধাপে ৪১ লক্ষ টাকা দেন বাগদার ওই ব্যক্তি। কিন্তু তারপরেও চাকরি না মেলায় একসময় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপর ওই প্রতারিত ব্যক্তি প্রথমে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে বাগদা থানায় গত বছরের ১৩ আগস্ট একটি অভিযোগ দায়ের হয়, যার নম্বর– ৫৭০/২৩। এরপর অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়।
এই মামলার তদন্ত করতে বাগদা থানার পুলিশকে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। তারা তদন্ত চালাতে গিয়ে জানতে পারেন যে, ছত্তিসগড় রাজ্যে অবস্থান করছে ওই প্রতারক। এরপর বাগদা পুলিশের ওই বাহিনী ছত্তিসগড়ের দূর্গ এলাকা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
ধৃত প্রতারককে রবিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, এটা একটা বড় প্রতারণা চক্রের কাজ। বাগদা থানার পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে রেলের ৫৭টি ভুয়ো ফাঁকা পরিচয়পত্র, রেলের বিভিন্ন ধরনের ২৯ টি স্ট্যাম্প, ধৃতের নামে তৈরি করা রেলের একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং ১ টি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন