সমকালীন প্রতিবেদন : কথায় আছে না, ভগবান আছে মানুষের মধ্যেই। তাই মানুষকে সেবা করলেই সাক্ষাত ভগবানের দর্শন মিলবে। এবার তেমনভাবেই যেন সাক্ষাত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেখা মিলল এক শিশুর মধ্যে। অনর্গল সে বলে চলেছে কৃষ্ণ কথা!
তার মুখ থেকে ধর্ম কথা শুনে মোহিত সকলে। এ তো বাবা–মায়ের শেখানো কথা নয়, মন থেকে বলছে সব কিছু। ছোটদের মধ্যে নাকি ভগবান থাকে! এ শিশুকে দেখলে, তার কথা শুনলে সেকথা বিশ্বাস করতে বড্ড ইচ্ছে হয়। তার কৃষ্ণপ্রেমে অবাক সকলে।
সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তার প্রতিটি কথা। কিন্তু কে এই বিস্ময় বালক? জানেন কি, তার পরিচয়! গলায় কখনও রুদ্রাক্ষ বা কখনও তুলসি কাঠের মালা, আর কপালে চন্দনের তিলক। নাম তার ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী। খেলাধুলোর বয়সে শ্রীকৃষ্ণই যেন তার ধ্যান জ্ঞান।
সে ছুটছে, লাফাচ্ছে শ্রীকৃষ্ণকে সঙ্গী করে। তার নিঃশ্বাসে যেন মিশে রয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। 'হাই' বা 'হ্যালো' নয়, এই শিশু সম্বোধনে বলে 'রাধে রাধে'। কাঁধ থেকে ঝুলছে কাপড়ের ঝুলি। তাতে রাখা জপমালা। সময় পেলেই মালা জপে ছোট্ট ভাগবত।
নিজে পড়ে শ্রীমৎভগবত গীতা। দেশ জুড়ে ঘুরে ঘুরে প্রচার করে গীতার মাহাত্ম্য। সম্প্রতি এই শিশুর দেখা মেলে একটি রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। 'সুপার সিঙ্গার সিজন-৩'-তে এসেছিল এই বিস্ময় বালক। পবনদ্বীপের কোলে চড়ে সে মঞ্চে আসে। তাঁর পরনে ছিল গেরুয়া ধুতি ও পাঞ্জাবী।
প্রথমে তাঁকে দেখেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলেন খোদ নেহা কক্কর। এরপর তাঁর মুখ থেকে শ্রীকৃষ্ণের একাধিক বাক্য শুনে রীতিমতো চমকে গেলেন সবাই। মাত্র ৫ বছর বয়সেই ভগবানের বিষয়ে তাঁর এত জ্ঞান শুনে মুগ্ধ হল সবাই।
শিশুটির এত কথা শুনে যখন নেহা কক্কর বললেন, 'তুমি বলতো শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা কেন আমাদের দরকার হয়?' তখন শিশুটি বলে, 'আমি আপনাকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি। আমরা বাজার থেকে কোনও ইলেকট্রনিক খেলনা কিনি।
সেই খেলনাটা কীভাবে চলবে তার জন্যে একটি ম্যানুয়াল থাকে। যাতে লেখা থাকে খেলনাটা কীভাবে চলবে? তেমনি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা আমাদের জীবনের ম্যানুয়াল, যা আমরা কীভাবে চলব, সেই বিষয়টা দেখিয়ে দেয়'!
একদম বড়দের মতো করে এক কথায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা নিয়ে যে বাণী দিল ওই শিশুটি, তাতে কিছুক্ষনের জন্যে রীতিমতো থমকে গেল শোটি। সবাই উঠে তার প্রশংসা করতে লাগল। আর নেহা কক্কর তো শিশুটিকে নিজের কাছে ডেকে আদরে ভরিয়ে দিল।
ভিডিওটি এখন ভাইরাল। এইটুকু বয়সে বিস্ময়কর বালকটি ১ মিনিটে যে শিক্ষা দিয়ে দিল দর্শকদের, তাতে কেউই শিশুটির প্রশংসা না করে থাকতে পারছেন না। যেন ঈশ্বরেরই বরপুত্র এই শিশু, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন