সমকালীন প্রতিবেদন : এক গৃহবধূকে প্রতিনিয়ত উত্তক্ত করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গাছে বেঁধে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল। আর এই কাজ করলেন ওই গৃহবধূ নিজেই। বাগদা থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগদা থানার কুলবেড়িয়া কাঁঠালবাগান গ্রামে বসবাস ওই গৃহবধূর। পাশেই থাকে মিঠুন হালদার নামে এক যুবক। ওই বধূ যুবকের কাকিমা সম্পর্কীয় আত্মীয় হন।
বছর দুয়েক ধরে বধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন ওই বধূ। অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিঠুন প্রায়ই ওই বধূকে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেয়।
শুধু তাই নয়, ভয় দেখাতে রাতের দিকে ওই বধূর বাড়ির আশপাশে হাতে দাঁ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এর আগেও সে এই ধরনের অশালীন আচরণ করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের সে একই ধরনের আচরণ শুরু করে।
বুধবার ভোররাতে আবারও সে ওই বধূর বাড়িতে হাজির হয়। জানালা দিয়ে বধূর মুখে টর্চের আলো ফেলে। মহিলা প্রতিবাদ করতেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
এরপর ওই বধূ একটি গামছা এনে প্রতিবেশীদের ডেকে অভিযুক্ত যুবক মিঠুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধোর করে বাগদা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মিঠুনের মা মনিরা হালদার বলেন, 'আমার ছেলে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই মহিলা সম্পর্কে মিঠুনের কাকিমা হয়| তা সত্ত্বেও এমন অন্যায় কাজ করছিল। আমি বারণ করলে উল্টে আমাকেই মারধোর করতো।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন