সমকালীন প্রতিবেদন : বিগত কয়েক বছর ধরে মহাকাশ গবেষণায় রকেটের গতিতে উত্থান হয়েছে ইসরোর। ২০২৩ সালে চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে বিশ্বজুড়ে ইসরোর বন্দনা হয়েছে। ভারত এবার স্বপ্ন দেখছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর। তবে মানুষ পাঠানোর আগে মহাকাশে পৌঁছে যাবে ভারতের এক মহিলা রোবট। যার নাম দেওয়া হয়েছে ব্যোমমিত্র।
সবার চোখ এখন ব্যোমমিত্রের দিকে। ইসরো শীঘ্রই এই মহিলা রোবটকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে এবং মিশনের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে মানববাহী গগনযান মিশন তথা ভারতীয় মহাকাশচারীদের বহনকারী দেশের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযান উড়বে ২০২৫ সালে।
কিন্তু কেন এই মহিলা রোবটের নাম দেওয়া হয়েছে ব্যোমমিত্র? ব্যোমমিত্রের অর্থ দু'টি সংস্কৃত শব্দ ব্যোম ও মিত্র সহযোগে গঠিত। ব্যোমের অর্থ মহাকাশ আর মিত্র অর্থ বন্ধু। অর্থাৎ মহাকাশে বন্ধু।
ইসরোর গগনযান মিশনের চলমান প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে উল্লেখ করতে হবে, এটি হবে ইসরোর প্রথম মনুষ্যবাহী মিশন। তবে মানুষের আগে এই রোবটটিকে প্রথমে মহাকাশে পাঠানো হবে।
মহিলা রোবটটিকে মানুষের রূপ দেওয়া হয়েছে। মানুষের মতো চোখ, নাক, মুখ, হাত, শরীর রয়েছে এই রোবটের। উল্লেখ্য, চূড়ান্ত মিশনের সময় কোনও প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন না হন মহাকাশারীরা, সেই কারণেই ব্যোমমিত্রকে পাঠানো হবে আগে। মানুষের যাওয়ার আগে সে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসবে।
এই মহিলা রোবটটি ছয়টি প্যানেল পরিচালনা করতে ও প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। মহিলা রোবটটি মহাকাশচারীদের মতো কাজ করবে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বুঝতেও সক্ষম। এটি গ্রাউন্ড স্টেশনে বিজ্ঞানী ও দলের সঙ্গে যোগাযোগ ও বার্তা পাঠাতে সক্ষম। সব মিলিয়ে, প্রস্তুতি চলছে এখন জোরকদমে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন