সমকালীন প্রতিবেদন : বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার হলেন এক বৃদ্ধ। দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ মেটাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক বৃদ্ধ। আহত হয়ে তাকে হাসপাতালে যেতে হল। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে গোপালনগরের নহাটা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে বিজেপির একটি পথসভা ছিল। আর সেই পথসভার ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে। একে অপরের উপর রুখে যায়।
ঘটনা চলাকালীন ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন নরেন্দ্রনাথ ভৌমিক নামে এলাকার এক বর্ষিয়ান নাগরিক। তিনি দুই গোষ্ঠীকে গোলমাল না করার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরই রানা গোস্বামী নামে এক বিজেপি কর্মী ওই বৃদ্ধকে রাস্তায় ফেলে মারধোর শুরু করে।
মারধোরের ফলে ওই বৃদ্ধের মাথায়, মুখে, কোমড়ে আঘাত লাগে। তাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘন্টা চারেক চিকিৎসা চলার পর তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি গোপালনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে ওই বৃদ্ধকে মারধোর করার সময় ঘটনাস্থলে টহলরত গোপালনগর থানার পুলিশকর্মীরা রানা গোস্বামী নামে ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়। রবিবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনা সম্পর্কে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, গত ৫ বছরে সাংসদ হিসেবে শান্তনু ঠাকুর যে ৫ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে পেয়েছেন, তার হিসেব চাইছিলেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। আর তাকে কেন্দ্র করে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাঁধে।
অন্যদিকে, এলাকার বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রথমে এই গোলমালের কথা জানেন না বলে দাবি করে, পরে তিনি জানান যে, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। গোষ্ঠীকোন্দলও নয়। ব্যক্তিগত কারনে গোলমাল হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন