সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছরের ২৩ আগস্টের কথা। ওই দিন ইসরোর মাথায় জুড়েছিল সাফল্যের নতুন পালক। সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বুক ফুলিয়ে চাঁদ জয় করেছিল ইসরো। ওই দিন সফলভাবে চাঁদের বুকে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩।
তারপর এক চন্দ্রকাল সেখানে থেকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছে। বছর ঘোরার আগেই ইসরোর চন্দ্রযান-৪ মিশন নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে সামনে এল বড় আপডেট। কি সেই আপডেট?
ইসরো সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রযান-৪ আর এক পর্যায় নয়, বরং দুই পর্যায়ে উৎক্ষেপণ হবে। তার নেপথ্যে যদিও নির্দিষ্ট কারন রয়েছে। যেহেতু এবার শুধুমাত্র চাঁদে ভারতের চন্দ্রযান অবতরণ করানোই হবে না, বরং চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহও করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে ভারতের চন্দ্রযান, তাই আরো ভারী নভোযান পাঠাবে ভারত।
কারণ, চন্দ্রযান-৩-এর মূলত তিনটি অংশ ছিল- ল্যান্ডার, রোভার ও প্রোপালশন মডিউল। সেখানে চন্দ্রযান-৪-এর ক্ষেত্রে আরও দু'টি বাড়তি অংশ যোগ হবে। এই অংশগুলি চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৪-এর মূলত পাঁচটি অংশ থাকবে। সেগুলি হল- প্রোপালশন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল, ট্রান্সফার মডিউল, রিএন্ট্রি মডিউল। তাই এই পাঁচ অংশ সমন্বিত চন্দ্রযান-৪-এর উৎক্ষেপণ দু'টি আলাদা পর্যায়ে হবে।
ইসরো সূত্রে খবর, ভারতের সবথেকে উৎক্ষেপণ যান এলএমভি থ্রি-এর সাহায্যে উৎক্ষেপণ করা হবে তিনটি অংশের। সেগুলির মধ্যে রয়েছে প্রোপালশন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল, অ্যাসেন্ডার মডিউল। গোটা প্রক্রিয়াটি ২০২৩ সালের চন্দ্রযান-৩ মিশনের অনুরূপ হবে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ট্রান্সফার মডিউল, রি-এন্ট্রি মডিউল পিএসএলভির মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। তবে কোনটি আগে উৎক্ষেপণ করা হবে, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি ইসরো।
চন্দ্রযান-৪-এর লক্ষ্য হল, চন্দ্রযান-৩-এর কৃতিত্বের উপর ভিত্তি করে আরও জটিল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা। এই মিশন সফল হলে ভারতই হবে চতুর্থ দেশ, যারা চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সফলভাবে নমুনা সংগ্রহ করে আনার কৃতিত্বের অধিকারী হবে। আর সেটাই হয়তো হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন