সমকালীন প্রতিবেদন : কর্তব্যরত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের ওপর হামলার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে ফের বনগাঁয় এলো সিবিআই। সোমবার সিবিআই এর একটি বড় দল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বনগাঁয় আসে। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে ৫ জানুয়ারী বনগাঁয় আসেন ইডির আধিকারিকেরা। সারাদিন ধরে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রধান শংকর আঢ্যর বাড়ি এবং একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর বেশি রাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি।
সেইদিন তাকে বাড়ি থেকে বের করে গাড়িতে তুলে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে শংকর আঢ্যর অনুগামীরা গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। ইডির অভিযোগ, তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় এবং কাজে বাধা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করে ইডি।
ওইদিন আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটে সন্দেশখালীর বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে অভিযান চালানোর সময়। সেখানে আরো বড় আকারে হামলার ঘটনা ঘটে। এই দুই মামলাতেই আদালত প্রথমে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশকে নিয়ে একটি সিট গঠন করার নির্দেশ দেয়।
কিন্তু সেই সিট গঠন করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সম্প্রতি হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআই এর ওপর অর্পণ করেন। আর সেই মামলারই তদন্ত করতে ময়দানে নামে সিবিআই। দিন দুয়েক আগেই রাতের দিকে কিছু সময়ের জন্য এসেছিলেন।
আর এরপর আজ সিবিআই সহ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য আধিকারিকদের একটা বড় দল ফের বনগাঁর শিমুলতলা এলাকায় আসেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি সহ আশপাশ এলাকায় বিভিন্নভাবে মেপে স্কেচ তৈরি করেন। সঙ্গে স্ক্যানারেও ছবি তোলা হয়।
এই একই ধরনের স্ক্যানার ইতিমধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে। এই স্ক্যানারের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রী এলাকা জুড়ে ছবি তোলা সম্ভবপর হয়। তদন্তের কাজ চলাকালীন শিমুলতলা এলাকার ওই রাস্তায় সাময়িকভাবে জান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই খবর লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে তদন্তের কাজ চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন