সমকালীন প্রতিবেদন : অশোকনগর এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় বসিরহাট এলাকা থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আনলো পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার গুমা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ছিলেন বিজন দাস। এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল বিজনের। পেশায় শিক্ষক বিজন এলাকায় তৃণমূলের অন্যতম কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই এলাকায় তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী এলাকার একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন বিজন দাস। রাতের দিকে নিবেদিতাপল্লী এলাকায় নিজের বাড়িতে না গিয়ে এলাকারই একটি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। একা থাকায় একসময় ঘুমিয়েও পড়েন তিনি।
আর সেই সময়েই এলাকারই কাঠের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে খুব কাছ থেকে বিজন দাসকে পর পর ৩ টি গুলি করে খুন করে। গুলির শব্দে বাড়ির লোকেরা ছুটে আসতেই পালিয়ে যায় গৌতম।
বিজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনায় সেইসময় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ অভিযুক্ত গৌতম দাসের বাড়িতে ভাঙচুরও করে।
এই খুনের ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। খুনের ঘটনার পর থেকে গৌতমের সন্ধানে নানাভাবে চেষ্টা চাসাচ্ছিল পুলিশ। এরপর তার মোবাইল ট্রাক করে পুলিশ জানতে পারে যে, সে বসিরহাট থানা এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে।
এরপর বুধবার অশোকনগর থানার পুলিশের একটি দল বসিরহাটে গিয়ে গৌতমকে গ্রেপ্তার করে আনে। বৃহস্পতিবার তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানায় পুলিশ।
পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক গৌতমকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন