সমকালীন প্রতিবেদন : লোকসভা ভোট আসন্ন। আর এই আবহে উত্তাল রাজ্য–রাজনীতি। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটের প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছে অনেক নতুন মুখ। ঠিক একইভাবে সম্প্রতি রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের 'রানী মা'। কৃষ্ণনগরের মানুষ এই নামেই চেনেন অমৃতা রায়কে।
রাজ পরিবার থেকে রাজনীতির ময়দানে আসার গল্প নতুন নয়। ত্রিপুরা, রাজস্থান, মণিপুরের মতো জায়গায় রাজ পরিবার থেকে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন এমন ব্যক্তি অনেক রয়েছেন। এবার বাংলার রাজনীতিতে উঠে এল এমনই এক ব্যক্তিত্ব।
তবে রাজনীতির সঙ্গে রানী মা বা তাঁর পরিবারের কোনোদিনই কোনো সক্রিয় যোগাযোগ ছিল না। বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের রানী মা ওরফে অমৃতা রায়। জানেন কে এই রানী মা? তাঁর আসল পরিচয়ই বা কী?
জানা গিয়েছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য ছিলেন তাঁর স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায়। সেই সূত্রেই কৃষ্ণনগরের রানী মা হয়ে ওঠেন অমৃতা রায়। একসময় ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালে জন্ম অমৃতা রায়ের।
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৮১ সালে। পড়াশোনা শেষ করেছেন কলকাতা থেকেই। দশম শ্রেণী পর্যন্ত কলকাতার বিখ্যাত স্কুল লা মার্টিনিয়ারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পরে রানী বিড়লা কলেজ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেন অমৃতা রায়।
এরপর কলতাকার লরেটো হাউস থেকে স্নাতক হন তিনি। তবে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি পেশাগত পাঠও রপ্ত করেছিলেন অমৃতা রায়। জানা যায়, টিচার্স ট্রেনিং কোর্স করার পর কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়ার স্কুল থেকে মন্টেসরি কোর্সও করেছিলেন তিনি।
এরপর নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন ফ্যাশন ডিজাইনিং-কে। রাজ পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বসত বাড়ি কলকাতাতেই। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন অমৃতা রায়। তাঁদের সন্তান মনীশ চন্দ্র রায় বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী।
কলকাতাতে থাকলেও যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনগরেই থাকেন তাঁরা। রাজবাড়ীতে ধুমধাম করে পালিত হয় দুর্গা পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। মানুষের ঢল নামে রাজবাড়িতে। শোনা যায়, একসময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এই রাজ পরিবারের যোগাযোগ ছিল।
তবে এর আগে এইভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেননি কেউ। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে এই প্রথম ভোট ময়দানে রাজ পরিবারের সদস্যা অমৃতা রায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন