সমকালীন প্রতিবেদন : চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আর এই অবস্থায় বাংলার বুকে শীত কার্যত উধাও। পথচলতি শহরবাসীর কপালে জমছে বিন্দু বিন্দু ঘামও।
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে ঊর্দ্ধমুখী পারদ। তার কারণ হল বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্তও শীতের প্রভাব ফিকে করেছে রাজ্যে।
ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই উপরে উঠে যাচ্ছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের আমেজ থাকলেও বেলা বাড়লেই বাড়ছে তাপমাত্রা। কার্যত মেঘলা আকাশের সঙ্গে পারদের উর্দ্ধগতি যেন অকাল বসন্তের সূচনা ঘটিয়েছে রাজ্যে।
দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শুক্রবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিম ও দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায়। এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শীত কিছুটা সময় থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে শীতের প্রভাব মুছে যেতে চলেছে বলেই অনুমান করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, এবার শীতের শেষবেলায় কনকনে ঠান্ডা ছিল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সাধারণত দেখা যায় ২৩ জানুয়ারির পর থেকে কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঠান্ডা কার্যত উধাও হয়ে যায়।
তবে এবার সে ছবি একেবারে উল্টো ছিল। বরং ২৩ তারিখের পর থেকে হু হু করে নেমেছে পারদ। স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে তা। চলতি সপ্তাহে অবশ্য তাপমাত্রা বেড়েছে।
এবার আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কাঁটা। ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো। অনেকেই মনে করছেন, তার আগেই শীতকে পুরোপুরি বিদায় জানিয়ে প্রকৃতি বসন্তকে স্বাগত জানাতে পারে।
এর সঙ্গে এই বছর যেহেতু এল নিনোর বছর, তাই এবার তাড়াতাড়ি গ্রীষ্মের প্রভাব যে পড়বে বাংলায়, তা আগেভাগেই জানা গিয়েছিল। তবে তা যে ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে, তার আন্দাজ করা যায়নি এর আগে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে সেই জায়গাতেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন