সমকালীন প্রতিবেদন : সন্দেশখালির একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগে ধৃত উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তর নাম জড়ালো এবার বনগাঁর একটি খুনের মামলায়। আর সেই সুবাদেই বুধবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকা। আর তাকে কেন্দ্র করে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। সেখানকার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাজাহান এখনও অধরা হলেও তার অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সরদার ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে।
আর সেই উত্তম সরদারেরই এবার নাম জড়ালো বনগাঁর একটি খুনের মামলায়। সেই খুনের মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত উত্তম সরদার। আর তাই বুধবার তাকে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়। তার হয়ে আইনী লড়াই করছেন আইনজীবী সঞ্জয় দাস।
এদিন সঞ্জয় দাস জানান, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট বনগাঁ থানার ট্যাংরা কলোনী এলাকায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জল পরা নিয়ে বিবাদ বাধে। আর সেই ঘটনায় এক প্রতিবেশীর বাঁশের আঘাতে প্রাণ হারান বিষ্ণু মন্ডল নামে আর এক প্রতিবেশী।
বিষ্ণু মন্ডলের স্ত্রী ঝর্ণা মন্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সময়েই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়। সঞ্জয় দাসের বক্তব্য অনুযায়ী, ধৃতরা নাকি পুলিশি জেরায় এই খুনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উত্তম সরদারের নাম বলেছে। আর তাই তাকে এই মামলায় যুক্ত করে তার বিরুদ্ধেও ৩০২ ধারা দেওয়া হয়েছে।
এদিন উত্তম সরদারকে আদালতে তোলার সময় তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সে দাবি করে যে, সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এর আগে সে কোনওদিন বনগাঁতে আসে নি। এই খুনের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তম সরদারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। অন্যদিকে, উত্তম সরদারের আইনজীবী তার জামিনের জন্য আবেদন জানান।
দুই পক্ষের আবেদনই খারিজ করে দিয়ে বিচারক উত্তম সরদারকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন