Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কোথায় কোথায় নজরদারি চালায় আমেরিকা?

Surveillance-through-satellites

সমকালীন প্রতিবেদন : পোখরানে ভারতের নিউক্লিয়ার টেস্ট হোক বা অন্যান্য দেশের বিভিন্ন গোপন পরীক্ষা, ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা যে সর্বত্রই নিজেদের নজরদারি রেখে গিয়েছে, তা সকলেরই জানা। 

তবে আমেরিকার এই অভ্যাস বদলানোর বদলে উল্টে আরো বেড়ে গিয়েছে বলেই দাবি বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের। তবে বিভিন্ন দেশের গোপন পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর নজরদারিকে ছাপিয়ে এখন নাকি আমার–আপনার ঘরের ভেতরে কি হচ্ছে, তাও নাকি জানতে পারা যাবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। 

তাহলে ভেবে দেখুন, যে সমস্ত বড় বড় স্যাটেলাইট ও টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে কয়েকশো কিংবা হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে থাকা গ্রহ, নক্ষত্র ও গ্যালাক্সিগুলিকে পরিষ্কার দেখা সম্ভব, সেগুলিকে পৃথিবীর ওপর ব্যবহার করলে কতটাই না পরিষ্কার ও হাই কোয়ালিটির ছবি তোলা সম্ভব।

২০১৯ এ ইরানের একটি স্পেস প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার ঠিক কিছু আগের মুহূর্তেই তাদের রকেটটি ব্লাস্ট করে যায়। এর পেছনে আমেরিকার হাত আছে বলে দাবি করেছিল ইরান সরকার। 

যদিও আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই যুক্তিকে সম্পূর্ণভাবে নাকোচ করে দেন। যদিও তাড়াহুড়ো করে নিজেদের দেশকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ট্রাম্পের পোস্ট করা একটি ছবির মাধ্যমেই উল্টে ইরান সরকার আমেরিকাকে চেপে ধরে। 

আকাশ থেকে অতো হাই কোয়ালিটির ইমেজ যে একমাত্র উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই নেওয়া সম্ভব, তা বারংবার দাবি করে এসেছে ইরান।আমেরিকা এক্ষেত্রে যে স্যাটেলাইটগুলি ব্যবহার করে থাকে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেগুলি হল 'কে এইচ ব্লক' প্রজাতির স্যাটেলাইট। 

এমনকি অনেক বিশেষজ্ঞদের দাবি যে, এই স্যাটেলাইটগুলিতে নাকি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন থার্মাল সেনসরের মতো বিভিন্ন হাইটেক প্রযুক্তি রয়েছে। এর মাধ্যমে এই স্যাটেলাইটগুলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেওয়াল ভেদ করে ঘরের মধ্যে কতজন মানুষ রয়েছেন এবং তারা কি করছেন, তা বুঝতে পারে।

এই ইন্টারনেটের যুগে একেই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকার ও স্ক্যামারদের কারণে সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। আর তার মধ্যেই আমেরিকার মতো দেশের কারণে নিজের ঘরের ভেতরের প্রাইভেসি নিয়েও যে এইবার এক প্রশ্নচিহ্ন উঠছে, তাতে আর সন্দেহ নেই।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন