সমকালীন প্রতিবেদন : আসছে সরস্বতী পুজো। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকঘন্টা। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট ডাউন। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী উৎসব পালিত হয়।
রীতি এবং প্রথা মেনে সঙ্গীত ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয় এই দিনে। কথিত রয়েছে যে, এই দিনে পড়ুয়ারা সরস্বতীর আরাধনা করলে বিদ্যার দেবীর আশীর্বাদ পান। পড়াশোনায় সাফল্য পাওয়া যায় তাড়াতাড়ি।
এ বছর বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব পালিত হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। জ্যোতিষশাস্ত্র ও হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনে নিয়ম-কানুন মেনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করলে পড়ুয়ারা আশানুরূপ ফল পাবে।
তবে মনে রাখতে হবে, বসন্ত পঞ্চমীর দিনে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলি জেনে বা অজান্তে কখনওই ভুল করেও করা উচিত নয়। সাধারণত সকলেরই জানা যে, বসন্ত পঞ্চমীর দিন হলুদ বা সবুজ রঙের পোশাক পরতে হয়।
তাই এই দিনে কালো রঙের পোশাক পরা উচিত নয়। এই দিনে হলুদ, সাদা বা সোনালী রঙের পোশাক পরলে পাওয়া যায় সরস্বতী ঠাকুরের আশীর্বাদ। সরস্বতী পুজোর দিনে পড়ুয়াদের মনকে শান্ত রাখা উচিত।
কারোর সঙ্গে তর্কে জড়ালে কিংবা রাগ করে থাকলে জীবনে নেমে আসবে ঘোর অমঙ্গল! এমনকি এই দিনে রয়েছে পিতৃ তর্পণ করারও বিধান। সেইজন্য মনে রাখতে হবে, এই দিনে ঘরে যেন কোনওরকম অশান্তি না হয়। এমনটা করলে পিতৃপুরুষেরা আঘাত পান।
বসন্ত পঞ্চমীর দিনে যেহেতু দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়ে থাকে, তাই এই দিনে গাছপালা কাটা একদমই উচিত নয়। এতে দেবী সরস্বতী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হোন। সরস্বতী পুজোর দিন সকালে স্নান সেরে প্রথমে সরস্বতীর আরাধনা করা উচিত।
আর তার পরই খাবার, জল গ্রহণ করতে হয়। এই দিন আঁশ-যুক্ত কোনও খাবার খাওয়া কখনোই উচিত নয়। আমিষ এবং অ্যালকোহল সেবন করলে জীবনে নেমে আসতে পারে ঘোর বিপত্তি।
এই প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনরূপ অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া ই-সমকালীনের উদ্দেশ্য নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন