সমকালীন প্রতিবেদন : মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামে, বহুকাল ধরে গোলাকার পাথরগুলিকে কুলদেবতা রূপে পুজো করে আসছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু সম্প্রতি এই পাথরগুলির রহস্য ভেঙে বেরিয়ে এসেছে, যা গ্রামবাসীদের মনে তীব্র আশ্চর্য এবং কৌতূহলের সঞ্চার করেছে।
এই গ্রামের পাশাপাশি, ভারতের আরও অনেক জায়গায় এমন গোলাকার পাথর পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে, বেশ কয়েকটি পাথর একসঙ্গেও দেখা যায়। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এই পাথরগুলিকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করে আসছেন। অনেকের কাছে এগুলি কুলদেবতার প্রতীকও।
গ্রামবাসীদের বিশ্বাস ছিল, এই পাথরগুলি পুজো করলে তাদের গ্রাম ও পরিবার সুখে-শান্তিতে থাকবে। ফসলের উৎপাদনও ভালো হবে। মধ্যপ্রদেশের পাডলিয়া গ্রামের মানুষ হাতের তালুর মাপের এই গোলাকার পাথরগুলিকে 'কাকর ভৈরব' নামে ডেকে পুজো করেন।
তাদের কাছে এই পাথরগুলি ঈশ্বরের মতো পবিত্র। সম্প্রতি কিছু বিশেষজ্ঞ গবেষণার জন্য এই গ্রামে আসেন এবং এই পাথরগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। পরীক্ষার ফলাফল দেখে তাঁদের অবাক হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত এই এলাকায় এক সময় ডাইনোসরের বাস ছিল।
এই গোলাকার পাথরগুলি আসলে ডাইনোসরের ডিম, যা জীবাশ্ম হয়ে গোলাকার রূপ ধারণ করেছে। যে পাথর গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে দেবতা ভেবে পুজো করে আসছেন, সেগুলি আসলে ডাইনোসরের ডিম! এই আবিষ্কারে গ্রামবাসীরা একদিকে হতবাক অন্যদিকে মুগ্ধও।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নর্মদা উপত্যকায় এক সময় টাইটানোসরাস নামে এক প্রজাতির ডাইনোসর বাস করত। এই গোলাকার পাথরগুলি সম্ভবত তাদের ডিম। মধ্যপ্রদেশের এই গ্রামে গোলাকার পাথরের রহস্য উন্মোচন একটি অনন্য আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে।
এই আবিষ্কার শুধুমাত্র গ্রামবাসীদের কাছেই নয়, সকলের কাছেই বিস্ময়কর এবং জ্ঞানবর্ধক। এই আবিষ্কারের ফলে গ্রামবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর প্রভাব পড়বে কি না, তা বলা মুশকিল। তবে, এটা নিশ্চিত যে এই আবিষ্কার গ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ফলস্বরুপ নর্মদা উপত্যকায় ডাইনোসরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেল। এটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এই আবিষ্কারের ফলে নর্মদা উপত্যকায় পর্যটনের দিকটি আরও গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন