সমকালীন প্রতিবেদন : কল্পনার জগতে যেমন অলীক কল্পনা দেখা যায়, তেমনই বাস্তবেও অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে থাকে। সত্যজিৎ রায়ের 'গুপি গাইন বাঘা বাইন' ছবির শেষ দৃশ্যে রসগোল্লার বৃষ্টির মতো, বিজ্ঞানীরা এখন দাবি করছেন, ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহে 'হীরের বৃষ্টি' হচ্ছে! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, হীরের বৃষ্টি!
ইউরেনাস এবং নেপচুন সৌরজগতের দুটি রহস্যময় গ্রহ, যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম। বরফ ও গ্যাসের পিণ্ডে ভরা। আর সেখানেই হচ্ছে এই অসাধারণ ঘটনা।
বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুসারে, এই গ্রহ দুটিতে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন এবং কার্বন পাওয়া যায়। হীরে তৈরির জন্য এই দুটি উপাদানই মূল কাঁচামাল। এই গ্রহগুলোতে ঘন ঘন ঝড় ও বজ্রবিদ্যুতের তাণ্ডব হয়।
এই তাণ্ডবে গ্রাফাইট তৈরি হয়, যা গ্যাসের চাদর ভেদ করে গভীরে নামতে নামতে হীরেতে পরিণত হয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর হীরের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল এই হীরেগুলি।
এই হীরের ভাণ্ডারের মালিকানা পেতে কি মানুষ দূরের এই গ্রহ দুটিতে পাড়ি জমাবে? এটা কিন্তু একটা সঙ্গত প্রশ্ন। যদিও হীরের বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এই দাবি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এব্যাপারে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
ইউরেনাস এবং নেপচুনের প্রতিকূল পরিবেশে মানুষের পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও, বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে ভবিষ্যতে হয়তো একদিন এই হীরের ভাণ্ডার মানুষের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছাবে।
এই রহস্যময় গ্রহ দুটির হীরের ভাণ্ডারের কাছে মানুষের পৌঁছানোর সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও মানুষের সাহসিকতার উপর।
এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি বিজ্ঞানের জগতে এক নতুন রহস্যের দরজা খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই রহস্যের সমাধান কি হবে, তা জানার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন