সমকালীন প্রতিবেদন : তালিকায় নাম থাকা সত্বেও উপভোক্তারা পেলেন না মুরগির বাচ্চা। তাহলে সেই মুরগির বাচ্চাগুলি গেল কোথায়? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে নিজেদের ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন বঞ্চিত উপভোক্তারা।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, এলাকার দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে ব্লক অফিস থেকে মাথা পিছু মুরগির বাচ্চা সহ একাধিক গৃহপালিত পশু দেওয়া হবে|
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে মুরগি প্রতিপালনের জন্য মুরগির ছোট ছোট বাচ্চা প্রদান করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। অভিযোগ, এই বাচ্চা বিতরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে শাসক দল। তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ৮০ জন মহিলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে বাগদা ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বঞ্চিত ৮০ জন মহিলা উপভোক্তা| তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপ্রিয়া বিশ্বাস।
সুপ্রিয়া বিশ্বাসের অভিযোগ, তালিকায় নাম থাকা সত্বেও ৮০ জন মহিলা মুরগির বাচ্চা পাননি| তাদের যে মুরগির বাচ্চা দেওয়ার কথা ছিল, সেই বাচ্চাগুলি অন্যদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে|
তাঁর অভিযোগ, ব্লকের প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে অন্যদের ফোন করে ডেকে এনে মুরগির বাচ্চা দেওযা হলেও এই ৮০ জনকে ফোন করা হয় নি। আর তার থেকেই পরিষ্কার হচ্ছে যে, পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এব্যাপারে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদেবি মন্ডল বলেন, কেন ওই ৮০ জন মুরগির বাচ্চা পেলেন না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্চে। যদি তারা কোনও কারণে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বিকল্প পথে মুরগির বাচ্চা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন বিজেপির নেতৃত্বে বাগদা ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেকান বঞ্চিতরা। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অভিযোগ, বিজেপি ওই মহিলাদের ডেকে এনে এখানে এসে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে বাগদার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন প্রামানিক কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন