সমকালীন প্রতিবেদন : বর্তমান বেকারত্বের জীবনে উচ্চ বা মধ্য মেধার পড়ুয়াদের জন্য নার্সিং পেশায় এখনও বেশ সুযোগ রয়েছে। নার্সিং প্রশিক্ষণ শেষে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমে কাজের সুযোগ রয়েছে। আর তাই এই পেশার চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট।
এবার এই পেশায় আগ্রহীদের জন্য নতুন ঘোষণা রাখল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নার্সিং পেশায় যোগদানে আগ্রহীদের জন্য বয়সের বাধা অবশেষে দূর হল। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নার্সিং পাঠক্রমে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিয়েছে।
এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিএসসি নার্সিং, এএনএম, জিএনএম, এমএসসি নার্সিং সহ যেকোনো নার্সিং কোর্সে ভর্তির জন্য বয়সের আর কোনো বাধা থাকছে না। এই সিদ্ধান্ত নার্সিং ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, কিছু উদ্বেগও রয়েছে। নার্সেস ইউনিটির রাজ্য সম্পাদিকা ভাস্বতি মুখোপাধ্যায় বলেন, '২১ বছর বয়সী একজন পড়ুয়ার পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাক্টিকালও করতে হয়।
তাহলে বেশি বয়সে এসে কি তাঁরা সেগুলি করতে পারবেন? এছাড়াও, ৪০ বছরের উপরে হলে সরকারি চাকরি কি পাবেন তাঁরা? শিক্ষার পর এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রটিকেও খারাপ করতে চাইছে সরকার।'
অন্যদিকে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, কিছু ছাত্রী বয়সের কারণে ইচ্ছে থাকলেও কোর্স করতে পারেন না। নতুন এই নির্দেশিকা তাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করে দেবে।
ভালোভাবে নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে তারা যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চাকরির সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে বয়সের কারণে যারা নার্সিং পেশায় আসতে পারছিলেন না, তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল।
এই সিদ্ধান্তের কিছু সম্ভাব্য সুবিধা :
নার্সিং ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং পরিণত ব্যক্তিদের আগমন, নার্সিং সেবার মান উন্নয়ন, নার্সিং পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, চাকরির বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি।
তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে :
বয়স্ক শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার প্রশ্ন, প্রশিক্ষণ ও কর্মক্ষেত্রে অভিযোজনের সমস্যা, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমার বাধা।
সামগ্রিকভাবে, নার্সিং ট্রেনিংয়ে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। তবে এই পদক্ষেপের সুফল এবং কুফল কী, তা সময়ই উত্তর দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন