সমকালীন প্রতিবেদন : রাতের বনগাঁ–চাকদা রোডে বেপরোয়া গাড়ির তান্ডব আটকাতে এবার পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকেই শুরু হল নাকা চেকিং। দুরন্ত গতির বাইক বা গাড়ির চালকেরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছে কিনা তা দেখা শুরু হল।
বনগাঁ–চাকদা রোড সম্প্রসারণ হওয়ার পর থেকেই এই রাস্তায় রাতেরবেলা একশ্রেণীর বাইকবাহিনী এবং চারচাকার গাড়ির বেপরোয়া চলাচলেল ঘটনা বাড়ছে। আর তাদের এই তান্ডবের শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচলতি মানুষ।
প্রায় প্রতিদিন রাত নামতেই এই রাস্তা দিয়ে বাইক বাহিনীর দাপট শুরু হয়। এদের অনেকেই আবার মদ্যপ অবস্থায় থাকায় বিপদ আরও বাড়ে। সাম্প্রতিককালে এই বেপরোয়া বাইক এবং গাড়ি চালকদের কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এভাবেই দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বনগাঁ–চাকদা রোডে রবিবার রাতেই ফের দুর্ঘটনা ঘটলো। এদিন একটি বেপরোয়া চার চাকা গাড়ি রাস্তার ধারের চায়ের দোকানের পাশে থাকা কয়েকটি বাইকে সজোরে ধাক্কা মারলো।
আর এই ঘটনায় মারা যাওয়ার ঘটনা না ঘটলেও গুরুতর আহত হন গাড়ির চালক সহ তিনজন। ক্ষতি হয় চার চাকা এবং একাধিক বাইকের। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন রাতে ওই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এই ঘটনার পর এদিন রাতেই জেলা পুলিশের উদ্যোগে বনগাঁ–চাকদা রোডে বিশেষ নাকা চেকিং এ নামে পুলিশ। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী বাইক, চার চাকার গাড়িগুলিকে দাঁড় করিয়ে চালকেরা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়।
এব্যাপারে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, রবিবার রাতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। চালককে চিহ্নিত করা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেলার পুলিশ সুপার আরও জানান, এলাকার মানুষকে সচেতন এবং আশ্বস্ত করতে বনগাঁ–চাকদা রোডে ২৪ ঘন্টা নাকা চেকিং চলবে। কেউ মদ্যপ অবস্থায় কিম্বা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি, বাইক চালালে, তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন