Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

শরীরে থাকবে যন্ত্র, বাইরে কম্পিউটার করবে চিকিৎসা, মস্তিষ্কে মাইক্রোচিপ বসাচ্ছে ইলন মাস্কের সংস্থা

Microchip-in-brain

সমকালীন প্রতিবেদন : মহাকাশযাত্রায় ইতিহাস তৈরির পরে এবার মানুষের রোগ সারাতে নতুন করে আসরে নেমেছে ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। আমেরিকার এই নিউরোটেকনোলজি সংস্থার গবেষণা মানুষের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জটিল রোগ নিয়ে। 

অবসাদ, উদ্বেগ থেকে স্লিপিং ডিসঅর্ডার—মস্তিষ্কের জটিল রোগ সারাতে নতুন রকম 'ব্রেন-মেশিন' তৈরি করছে নিউরালিঙ্ক। এই মেশিনকে মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে বসিয়ে তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগও করা হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল বেশ চিত্তাকর্ষক বলেই মাস্ক জানিয়েছেন। 

তাঁর দাবি, এই পদ্ধতিতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগী। মস্তিষ্কের সঙ্গে নাকি তাঁর তৈরি ওই ব্রেন চিপ বেশ মানিয়ে নিয়েছে। আর এই ব্যবস্থা জটিল রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে দাবি মাস্কের সংস্থার। 

জানা গেছে, মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল প্রেরণ করে বৈদ্যুতিন যন্ত্রে বার্তা পাঠানো হবে। আর এভাবেই কাজ করবে ওই ব্রেন মেশিন। নিউরালিঙ্কের গবেষকদের দাবি, এই ডিভাইস তৈরি হয়েছে ছোট ইলেকট্রোড দিয়ে। তার মধ্যে এমন প্রোব আছে, যা সহজেই মস্তিষ্কের কোষে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে। 

গবেষকদের দাবি, এই ডিভাইস মস্তিষ্কের ভেতরে কোনও ক্ষতি করবে না বা এর কোনও প্রতিক্রিয়াও দেখা যাবে না। মস্তিষ্কের কোষে প্রতিস্থাপন করলে এই যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলিকে সারাতে পারবে। মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্রিয়া ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। 

ব্রেন সার্জারির মতো ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের দরকার পড়বে না। কিন্তু এই যন্ত্র কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্নটাও উঠছে। কারণ, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নির্দিষ্ট বিধি লঙ্ঘনের দায়ে চলতি মাসেই মাস্কের সংস্থাকে জরিমানা দিতে হয়েছে। 

যদিও এই বিষয়ে লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক অ্যান ভ্যানহস্টেনবার্গ জানিয়েছেন, চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্র নির্মাতা যে কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই এ ধরনের পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের পরীক্ষা আগেও হয়েছে। কিন্তু এই আবিষ্কার মানব সভ্যতার জন্য কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেটাই এখন দেখার।



 



‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন