সমকালীন প্রতিবেদন : একের পর এক দেশ পাড়ি দিচ্ছে চাঁদে। গত বছর ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল ভারতের ইসরো। চাঁদের মাটিতে নানান গবেষণা চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রেরনের পর ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান চন্দ্রদিবসের শেষে ঘুমিয়ে পড়ে।
১৪ দিন চাঁদে রাত কাটানোর পর আর কোনওভাবেই ঘুম থেকে জাগানো যায়নি ল্যান্ডার বিক্রমকে। কিন্তু এইবার সেই অসাধ্য সাধন করে দেখাল এশিয়ার অন্য একটি দেশ। জানেন, কোন দেশের কথা বলা হচ্ছে এখানে?
সেটি হল, পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপান। চলতি বছরের গত মাসেই নিজেদের চন্দ্রযান পাঠিয়েছিল জাপান। তাঁদের গবেষণা সংস্থা জাক্সার তরফে জানানো হয়েছিল যে, স্লিম সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে। তবে অবতরনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
মহাকাশযানের মধ্যে থাকা সোলার প্যানেল সূর্যালোকের উল্টোদিকে ঘুরে যাওয়ায় চাঁদে পৌঁছেও সঠিকভাবে কাজ করতে পারছিল না স্লিম। যার কারণে, সেই সময় তাঁদের অভিযানকে ব্যর্থ হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল।
যদিও সূর্যের আলোর অভিমুখ বদলের পরেও আরো একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছিল স্লিম এবং সেইসময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ করে নেয় সে। তবে এরপর চাঁদে রাত নেমে আসায় ঘুমিয়ে পড়ে ল্যান্ডারটি।
দুই সপ্তাহ বাদে চাঁদে সূর্য ওঠার পর স্লিমের সোলার প্যানেলে সেই আলো পড়ে আকস্মিকভাবেই জেগে ওঠে ল্যান্ডারটি। জাক্সার তরফে জানানো হয়েছে, ল্যান্ডারটিকে প্রেরিত বার্তায় সাড়া দিয়েছে সেটি অর্থাৎ চাঁদে রাত কাটানোর পর ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম কাজ করতে পারেনি।
এক্ষেত্রে অবশ্য তা করে দেখিয়েছে জাপানের ল্যান্ডার স্লিম। ল্যান্ডারটি যে হঠাৎ করে জেগে উঠবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিল না জাক্সা। তাই ল্যান্ডারটি সক্রিয় হওয়ায় আবার নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
চাঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে ল্যান্ডারের যন্ত্রগুলিকে খাপ খাইয়ে যাতে চাঁদের মাটিতে পুনরায় গবেষণা চালানো যায়, সেই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে জাক্সা। জাপানের এই চন্দ্রাভিযানের অভিজ্ঞতাকে কি এবার কাজে লাগাবে ইসরো বা নাসা? সময়ই তার উত্তর দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন