সমকালীন প্রতিবেদন : দেশের বিভিন্ন আইএএস অফিসাররা তাঁদের বিশেষ কাজের জন্য পরিচিত। আইএএস স্মিতা সবরওয়াল আর কোনও পরিচয়ের ওপর নির্ভরশীল নন।
তাঁর নামে এমন অনেক রেকর্ড রয়েছে, যেগুলি ভাঙা কারও পক্ষে সহজ হবে না। কারণ, মাত্র ২২ বছর বয়সেই কঠিন ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তিনি।
১৯৭৭ সালের ১৯ জুন দার্জিলিংয়ে জন্মেছিলেন স্মিতা সবরওয়াল। তাঁর আসল নাম স্মিতা দাস। তাঁর বাবা প্রণব দাস আর্মিতে ছিলেন, হায়দ্রাবাদের কর্ণেল পদে আসীন থাকাকালীন তিনি অবসর নেন।
হায়দ্রাবাদেই পড়াশোনা করেছেন স্মিতা। পড়াশোনা শেষ করে ২০০০ সালেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। সেকেন্দ্রাবাদের সেন্ট অ্যান্স স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর পেয়ে পাশ করেন স্মিতা।
তারপর বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য ভর্তি হন সেন্ট ফ্রান্সিস ডিগ্রি কলেজ ফর ওমেনে। অনেকেই বলেন, ইউপিএসসি–র মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে দিনে ষোলো ঘণ্টা, আঠারো ঘণ্টা পড়তে হয়।
কিন্তু স্মিতার ক্ষেত্রে বিষয়টা ঠিক ওইরকম ছিল না। জানা গেছে, দিনে মাত্র ৬ ঘণ্টা পড়েই ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন স্মিতা। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস ছিল স্মিতার।
পরীক্ষায় তাঁর বৈকল্পিক বিষয় ছিল নৃতত্ত্ব এবং পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০০০ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন স্মিতা। সারা ভারতে ৪ র্যাঙ্ক তাঁর জীবনে যেন এক স্বপ্নের মতো।
মাত্র ২২ বছর বয়সেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের মধ্যে কনিষ্ঠতম আইএএস অফিসার হন স্মিতা সবরওয়াল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত স্মিতা সবরওয়াল।
তাঁর কাজের ধরন এবং দরিদ্রদের সাহায্য করার আবেগ প্রশংসিত হয় সর্বত্র। হয়তো আজ, তিনি এক আইকন হয়ে উঠবেন সকলের কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন