সমকালীন প্রতিবেদন : স্ত্রীকে বাড়ি ফেরার জন্য বারে বারে অনুরোধ জানাচ্ছিল স্বামী। কিন্তু নতুন করে অত্যাচারিত হওয়ার ভয়ে আর স্বামীর বাড়িতে ফিরতে চাইছিলেন না স্ত্রী। আর সেই রাগে গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আহত করল স্বামী।
জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অম্বরপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাগদা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা পায়েল বিশ্বাসের। অভিযোগ, বিয়ের পর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিয়ে প্রায়ই স্ত্রী পায়েলকে মারধর করত স্বামী গৌতম।
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মাস দুয়েক আগে বাগদার কাশিপুর মধ্যপাড়াতে বাপের বাড়িতে চলে যান পায়েল। এরপর থেকে একাধিকবার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরার জন্য আনুরোধ জানায় গৌতম। কিন্তু পায়েল স্বামীর বাড়িতে ফিরতে অস্বীকার করেন।
বারে বারে অনুরোধ ফিরিয়ে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গৌতম। এরপর সম্প্রতি এক মধ্যরাতে বাগদায় পায়েলের বাপের বাড়িতে এসে রান্নাঘরের পিছন দিয়ে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে জামাই গৌতম। রাতে জল খেতে উঠে স্বামীকে দেখেই চমকে যান পায়েল।
অনেকটা 'ভুত' দেখার মতো গভীর রাতে ঘরের ভেতরে স্বামীকে দেখতে পেয়ে ভয়ে পায়েল তার ঠাকুমার দিকে সরে যান। আর তখনই ছুরি নিয়ে পায়েলের উপর চড়াও হয় গৌতম। একাধিক কোপ চালাতে থাকে স্ত্রীর উপর। নিজেকে রক্ষা করতে গেলে পায়েলের হাতে, পায়ে একাধিক জায়গায় কোপ লাগে।
পায়েলের চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে পড়েন বাড়ির অন্য সদস্যরা। বুঝতে পেরে বাইক ফেলে রেখেই চম্পট দেয় স্বামী গৌতম। গুরুত্বর আহত অবস্থায় পায়েলকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
এই ঘটনার পর পায়েল গৌতম সহ তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে বাগদা থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন