সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদের মাটিতে বিজয় কেতন ওড়ানোর পর মহাকাশ গবেষণায় ফের ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারত। মঙ্গলবার বহু প্রতিক্ষিত ‘গগনযান’ মিশনের চার মহাকাশচারীর নাম প্রকাশ্যে আনল ইসরো। আনুষ্ঠানিকভাবে মহাকাশচারীদের নাম ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে এই ঘোষণা হয়।
ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি ‘গগনযান’-এ মহাকাশ পাড়ি দিচ্ছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লা।
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, 'গগনযান' মিশনে যাওয়ার জন্য অনেকেই নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় বায়ুসেনার ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনে প্রথম পর্যায়ের 'সিলেকশন টেস্ট' হয়েছিল।
সেই পর্যায়ের পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল ১২ জনকে। ওই ১২ জনকে নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখে বসতে হয়েছিল। সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে ভারতীয় বায়ুসেনার ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিন এবং ইসরো শেষপর্যন্ত চারজনকে বেছে নেয় বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ট্রেনিংয়ের জন্য তাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, যে দেশ ইতিমধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠিয়েছে। 'গগনযান' মিশনের মাধ্যমে প্রথমবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা।
কীভাবে মহাকাশে থাকতে হবে, বরফের মধ্যে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, মরুভূমিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, জলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সবকিছুর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। দেশে ফিরে সিমুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ হয়েছে।
শারীরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিশেষ ধরনের যোগাও করেছেন বলে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ যেটা হল, সেটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
বিশ্বে ভারতের প্রভাব কতটা বাড়ছে, সেটার প্রমাণ হয়ে দাঁড়াল। আর এটাই যে আগামী সময়ে সত্যি হতে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ রইল না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন