সমকালীন প্রতিবেদন : বৃহত্তর কলকাতার বুকে বিরিয়ানির একাধিক পরিচিত ঠিকানা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল আর্সনাল, হাজি, ডি-বাপি ও দাদা–বৌদির বিরিয়ানি। মূলত ব্যারাকপুর থেকেই পথচলা শুরু হয় দাদা–বৌদির বিরিয়ানির।
তবে এখন কলকাতার আশেপাশে মোট তিনটি আউটলেট রয়েছে দাদা–বৌদির বিরিয়ানির। যার মধ্যে ব্যারাকপুরে রয়েছে তাদের আদি দোকান। তাদের দ্বিতীয় আউটলেটটিও রয়েছে ব্যারাকপুরেই। এছাড়াও, বছরখানেক আগে সোদপুরে দাদা–বৌদির বিরিয়ানির তৃতীয় আউটলেট খোলা হয়েছে। খোলা হচ্ছে মধ্যমগ্রামেও।
তবে তাদের এই ব্যবসা একদিনের নয়। দাদা–বৌদির দোকানের প্রতিষ্ঠাতা একরকম বলা যেতে পারে রামপ্রসাদ সাহাকে। ব্যারাকপুরে এসে তিনি প্রথম রুটি–সব্জির এই দোকান চালু করেন। সেখান থেকে শুরু হয় ভাতের হোটেল।
রামপ্রসাদের পর তার ছেলে ধীরেন সাহা এবং তার স্ত্রী হাল ধরলেন ব্যবসার। তাঁরাই এই দোকানের নাম দেন দাদা–বৌদির হোটেল। তবে এই দাদা–বৌদির বিরিয়ানির আসল কান্ডারি যদি বলতে হয়, তাহলে কিন্তু মূল কৃতিত্ব রামপ্রসাদের দুই নাতির। তাঁদের হাত ধরেই এই দোকানে প্রথম বিরিয়ানি বিক্রি শুরু হয়।
তবে ধীরেনবাবু এখন বৃদ্ধ। তাই আগে তিনি হিসেবনিকেষ রাখলেও, এখন সব দায়িত্ব দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীবের। সম্প্রতি সঞ্জীববাবু মা-বাবাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। তাঁর মুখ থেকেই সৌরভ জেনে নিলেন বিরিয়ানির এই ব্যবসার হাল হাকিকত।
তাঁরা জানান, প্রতিদিন এক-একটি কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। সেই কারণে প্রতিদিনের রোজগার কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। বিরিয়ানি তৈরি করতে প্রতিদিন ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে।
বিভিন্ন দোকান থেকে নিজেরা দেখে মাংস কেনেন সঞ্জীব ও রাজীব। তাঁরা সবসময় চেষ্টা করে যান, যাতে বিরিয়ানির মান খারাপ না হয়। ৪০ বছর ধরে বিরিয়ানি বানানোর কাজ করে আসছেন। তাই এখন তাদের বছরে ১০০ কোটি টাকার মতো কারবার হয়।
শুরুর দিন থেকেই সবার মন জিতে নিয়েছিল এই বিরিয়ানি। আস্তে আস্তে লোকমুখেই হতে লাগল প্রচার। আর এখন তো সবার মুখে মুখে ঘোরে দাদা–বৌদির বিরিয়ানির নাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন