সমকালীন প্রতিবেদন : নদীর উপর পাকা সেতু না হলে ভোট নয়। লোকসভা ভোট তাঁরা বয়কট করবেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে যৌথ সিদ্ধান্ত নিলেন গ্রামবাসীরা। আর নিজেদের দাবির সমর্থনে আন্দোলন সংগঠিত করলেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গেছে কোদালিয়া নদী। নদীর একপারে সিঙ্গি গ্রাম, অন্যপারে রানিহাটি। আর এই দুই গ্রামকে সংযুক্ত করেছে বাঁশের সাঁকো। নদীর দুপারের কয়েকশো পরিবার এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে দৈনন্দিন যাতায়াত করে।
স্কুল, বাজার ঘাট, থানা যেতে হলে এই নদীর উপর অবস্থিত সাঁকো পার হতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বাধীনতার সময় থেকে তারা কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন।
পাকা সেতু করে দেওয়ার জন্য অনেকবারই মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবে রুপ পায় নি। ২০০৬ সালে একবার মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর থেকে কোন কাজ আর এগোইনি। মাঝে মধ্যেই সাঁকো পারাপারের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এলাকার মানুষ।
সাঁকোর একপ্রান্তে রয়েছে রানিহাটি হাইস্কুল। সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে যেতে ভয় পায় পড়ুয়ারা। সাঁকো নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুসছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দাবি পূরণ না হলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাসিন্দারা।
এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য উদ্বাস্তু সেলের কো কনভেনর শিশির হাওলাদার জানিয়েছেন, 'গ্রামবাসীদের দাবি সঙ্গত। স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি পাকা সেতু নির্মানের বিষয়ে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু কোন কাজ করেনি।'
এবিষয়ে তৃণমূলের বাগদা পশ্চিম ব্লকের সভাপতি অঘর চন্দ্র হালদার বলেন, 'আমরা মানুষের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সরকারকে জানবো যাতে দ্রুত এই সেতুর কাজ শুরু হয়।' তবে কবে কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি বাস্তবে রুপ পাবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন