সমকালীন প্রতিবেদন : হুগলি জেলার নবগ্রামে অ্যাসবেস্টসের ছাউনির ঘর। সব সময় জুটত না পেট ভরা খাবারও। ছয় ভাই–বোনের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন বাবা। তবে পেটে খিদে নিয়েও এক গৌতম চট্টোপাধ্যায় স্বপ্ন দেখতেন আকাশে ওড়ার।
তাঁর উড়ান হয়েছে স্বপ্নের মতোই। ছোটবেলায় প্রথমে শিশুভারতী স্কুল, আর তারপর বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়াশোনা। এরপর ইলেকট্রনিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে যোগ দেন তিনি।
শেষে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা ক্যালটেক। তার পরই আসে নাসা থেকে ডাক। ১৯৯৯ সালে গৌতমবাবু যোগ দেন নাসায়। শেষ ১২ বছর ধরে গৌতমবাবু নাসাতে কর্মরত। নাসা প্রতিবছর মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকে।
সেই মতো গত বছর নতুন প্রজন্মের তরুণ তরুণীদের বিজ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই বিশেষ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে গৌতম চট্টোপাধ্যায়কে। বর্তমানে আমেরিকায় স্ত্রী কন্যা নিয়ে থাকেন গৌতম। বাবা মারা গিয়েছেন।
মা সাধনা চট্টোপাধ্যায় কোন্নগর ক্রাইপার রোডের এক আবাসনের বাসিন্দা। শত ব্যস্ততা থাকলেও সময় পেলেই কোন্নগরে নিজের পরিবারের কাছে সময় কাটাতে চলে আসেন গৌতমবাবু। তাঁর কথায়, 'আমার মা সাধনা চট্টোপাধ্যায়ের টানেই বারে বারে ভিটেয় ফিরে আসা।
বাবার অল্প উপার্জনে কীভাবে মা সংসার সামলাতেন, তা দেখেছি। মা না থাকলে, হয়তো আমার বিজ্ঞানী হওয়া হতো না।' হয়তো এভাবেই কেউ কেউ সমাজের সামনে উঁচু করে তোলেন বাবা মায়ের মাথাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন