সমকালীন প্রতিবেদন : ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছিলেন জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ সিং। সর্বভারতীয় এক জনপ্রিয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন হননি ঠিকই, তবে তাঁর গান লোকের মনে গেঁথে গিয়েছিল তখন থেকেই।
সেই রিয়্যালিটি শো শেষ হওয়ার পর গান গাওয়ার সুযোগ আসে তাঁর এবং একের পর-এক ছবি এবং মিউজিক ভিডিয়োতে গান গেয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান অরিজিৎ। এমন কোনও অভিনেতা নেই মুম্বই কিংবা বাংলায়, যিনি অরিজিতের কণ্ঠে লিপ সিঙ্ক করেননি সিনেমায়।
এককথায় দেশজুড়ে এখন চূড়ান্ত জনপ্রিয় বাংলার এই গায়ক। কিন্তু অরিজিৎ সিংয়ের এই কণ্ঠ নাকি আসল নয়। এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়ে তাঁর অনুরাগীদের ভুল ভাঙিয়েছেন অরিজিৎ। সেই সাক্ষাৎকারে গায়ক বলেছেন, দিনের পর-দিন মেহনত করে নতুন কণ্ঠ তৈরি করেছেন তিনি।
অরিজিৎ বলেছেন, 'আমি আমার কণ্ঠকে টুকরো-টুকরো করে ভেঙেছি। আমার কণ্ঠ এমন মোটেও ছিল না। অন্যরকম ছিল। মানুষ ঘৃণা করত সেই কণ্ঠকে। সেই কণ্ঠেই গান গাওয়া শুরু করেছিলাম এবং শ্রোতাদের সেটা একেবারেই ভাল লাগেনি। নিজের কণ্ঠ পাল্টাতে হয়েছে আমাকে।'
'গলাকে ক্রমাগত ভেঙে টেক্সচার তৈরি করেছি। নিজেকে খুব অত্যাচার করেছি আমি। অনেক রাত পর্যন্ত রেওয়াজ করে সকালে রেকর্ডিং করতে গেলে গলা ব্যারিটোন হয়ে যায়। প্রস্ফুটিত হয় দুর্দান্ত কণ্ঠ। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।'
অরিজিৎ সিংয়ের এই কন্ঠ কিন্তু শুনতে অভ্যস্ত নয় ভারতবাসী। তাই যেভাবে নিজেকে শ্রোতাদের সামনে আবির্ভুত করেছেন তিনি, যেভাবে নিজের মনের ব্যথা গলায় এনে তা বিলিয়ে দিয়েছেন আবেগী যুবসমাজের মধ্যে, সেভাবেই তিনি অমর হয়ে থেকে যাবেন।
কারণ, শুধু শিল্পে নয়, বাস্তব জীবনেও আপামর মাটির মানুষ এই অরিজিৎ সিং। তাঁর জীবন সম্পর্কে কোনো ঘটনা হয়তো কারো অজানা নয়। তাই সবাই চান, এই মিশুকে সুপারস্টার এভাবেই জ্বলতে থাকুক ধ্রুবতারা হয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন