সমকালীন প্রতিবেদন : 'ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল' ঘটনাটা ঠিক এইরকমই। কারণ, টোটো থেকেই 'মিনি ইলেকট্রিক থার' গাড়িতে রূপান্তরিত করেছেন বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত করিধ্যা কানাইপুরের বাসিন্দা শেখ জয়নাল।
১০ মাসের দীর্ঘ পরিশ্রমে বানিয়েছেন এই অভিনব গাড়িটি। টোটোর এই অভিনব রূপান্তর দেখতে যেমন আগ্রহী মানুষ, তেমনই চাপতেও উৎসুক সিউড়িবাসী। পেশায় গ্রিলের মিস্ত্রি শেখ জয়নাল সারাদিন সিউড়ি সদর হাসপাতালে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মেইটেনেন্সের কাজ করেন।
বছরখানেক আগে একটি টোটো কিনেছিলেন। কিন্ত তাতে খুব একটা রোজগার হতো না। তাই একটু অন্য চিন্তাভাবনা শুরু করেন। কাজের শেষে বাড়ি ফিরে একটু একটু করে সেই টোটোরই রূপ বদল করা শুরু করেন।
৪ ধরণের গাড়ির যন্ত্রাংশ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের পরিশ্রমে বানিয়ে ফেলেন 'মাহিন্দ্রা থার' গাড়ির আদলে 'মিনি থার'। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে মোটামুটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। জানা গেছে, প্রায় দশ মাস সময় লেগেছে এই গাড়িটি তৈরি করতে।
এখন এই গাড়িতে একবার চার্জ দিলে চলে মোটামুটি ৮০ কিলোমিটার। যদিও এর ব্যাটারি পরিবর্তন করলে মাইলেজ আরও বাড়ানো সম্ভব বলেই জানান তিনি। যেহেতু তিনি গ্রিল তৈরি করতেন, তাই এই বডি ওয়েল্ডিং করে বানাতে তাঁকে কারও সাহায্য নিতে হয়নি।
সম্পূর্ণ গাড়িটি তিনি নিজেই বানিয়েছেন। এই গাড়ি বানাতে তাঁকে জাগতে হয়েছে বেশকিছু রাত। অবশেষে গাড়ি রুপান্তরের কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেই গাড়ি ছুটে বেড়াচ্ছে সিউড়ির রাস্তায়। না বলে দিলে এই রুপান্তরিত গাড়ির বিষয়টি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই।
আর জয়নালের তৈরি এই অভিনব গাড়ি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ আবার আগ্রহ নিয়ে চেপেও বসছেন গাড়িতে। আর ঠিক এভাবেই এক গ্রিল মিস্ত্রির কর্মকান্ড অবাক করছে বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারদেরকেও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন