সমকালীন প্রতিবেদন : হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। আগামী ২২ জানুয়ারি খুলে যাবে বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের দরজা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পরিচালক মোহন ভগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও, বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে ওইদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ, ধর্ম, সম্প্রদায়, উপাসনা পদ্ধতি, ঐতিহ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আচার্যেরা উপস্থিত থাকবেন।
এই অনুষ্ঠানে থাকবেন ১৫০ এরও বেশি বিভিন্ন মত-পন্থের সাধু-সন্ন্যাসী এবং ৫০-এরও বেশি আদিবাসী, জনজাতি শ্রেণির শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়া জৈন, বুদ্ধ, শিখ সমাজের ধর্মীয় নেতা এবং হিন্দু ধর্মের নানা মতে বিশ্বাসী জনগণের ধর্মীয় প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে। গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলে রামলালা দর্শনও করতে পারবেন ওই দিন।
তবে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান। আগামী ৫ দিন ধরে চলবে এই দ্বাদশ অধিবাস রীতি। ১৬ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বাদশ অধিবাস নিয়মের পালন করা হবে। এই ক’দিন যে নিয়মগুলি পালন করা হবে তা এবার জেনে নিন।
১৬ জানুয়ারি হবে প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্মকুটি পুজো। এরপর ১৭ জানুয়ারি মূর্তি পরিসর প্রবেশ পুজো সংঘটিত হবে। তারপর ১৮ জানুয়ারি বিকেলে হবে তীর্থপুজো। সেই সঙ্গে ওইদিন হবে জলযাত্রা এবং গন্ধাধিবাস।
আগামী ১৯ জানুয়ারি সকালে করা হবে তিনটি অধিবাস। ওইদিন হবে ঔষধাধিবাস, কেসরাধিবাস এবং ঘৃতাধিবাস। তারপর ১৯ জানুয়ারি বিকেলে সম্পন্ন হবে ধন্যধিবাস।
এবার ২০ জানুয়ারি সকালে একজোড়া অধিবাস হবে। সেগুলি হল– শর্করাধিবাস ও ফলাধিবাস। ওইদিন বিকেলেই সম্পন্ন হবে পুষ্পধিবাস। এরপর আগামী ২১ জানুয়ারি সকালে মধ্যধিবাস এবং বিকেলে হবে সহ্যধিবাস।
জানা গেছে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পূর্বে ১২১ জন আচার্য মিলে এই সকল নিয়ম পালন করবেন। সমস্ত বিষয়টি দেখাশোনা করবেন জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। তাঁকে সহায়তা করবেন কাশীর প্রধান আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। তাই রামরাজ্যে আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল রাম উৎসবের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন