সমকালীন প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন বেশ ঠান্ডা পড়েছে। শীতের মরসুমে এমনই তো হওয়া স্বাভাবিক। বরং এবার তো ডিসেম্বর পুরো ফাঁকাই গেল! জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পার করে সংক্রান্তির মুখে এসে কিছুটা শীত টের পাওয়া গেছে। তার রেশ এখনও রয়েছে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?
উত্তর খুঁজতে গিয়ে তো অবাক করার মতো আরও তথ্য সামনে উঠে এল। এবছর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে দেখা গেল কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বরফও পড়েনি। সাত বছর পর গুলমার্গে রীতিমতো বরফের খরা।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, আগামী কয়েকদিনে বরফ না পড়লে এবার হয়তো ফেব্রুয়ারি থেকেই গরম পড়তে শুরু করবে। কারণ, বছরটা এল নিনোর। কিন্তু কি এই এল নিনো? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এল নিনো হল একটি জলবায়ু প্যাটার্ন, পূর্ব গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
গত বছর থেকেই ভারত এল নিনোর সক্রিয় পর্যায় অনুভব করেছে। এল নিনোর প্রভাব শুরু হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে। মনে করা হচ্ছে, এল নিনোর দাপট চলবে এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত। তাই আগেভাগে গরম পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।একইসঙ্গে এর ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও বাড়ছে। গত ডিসেম্বর মাসে এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ ভারতে৷ দক্ষিণ ভারতে আছড়ে পড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি দেখে বিজ্ঞানীরা ভয় পেয়েছেন৷ তাঁরা বলেছেন, এই ভয়ানক চেহারা দেখে আগামীদিনে আশঙ্কা আরও বাড়ছে৷
কারণ, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, উত্তর মহাসাগরে জলরাশি গরম হয়েছে ৩৮ শতাংশের মতো৷ সেখানে উত্তর পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে গরম হওয়াটা ২২ শতাংশে আটকে আছে৷ ফলে মনে করা হচ্ছে, ভারত মহাসাগরের জল বেশি করে গরম হচ্ছে৷
আর তাতেই মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে৷ এর ফলে, আরও ঝড় বেশি বৃদ্ধি পাবে৷ তাতে স্থলভাগের মানব সভ্যতাকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে৷ তাই, ২০২৪ সালে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে সকলকেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন