সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত–নেপাল সীমান্তে শিশু পাচারের মতো ঘটনার উপর একটি নতুন হিন্দি ওয়েব সিরিজ তৈরি হল। পরিচালক তথা অভিনেতা সাগ্নিক চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এই ওয়েব সিরিজের অধিকাংশ শ্যুটিং হয়েছে ঝাড়খন্ড সীমান্ত লাগোয়া পুরুলিয়া জেলায়।
সীমান্ত এলাকায় নারী এবং শিশু পাচার দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই অবৈধ কারবারে জড়িত থাকে একটা বড় চক্র, যাদের জাল ছড়ানো থাকে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কখনও কাজের প্রলোভন দেখিয়ে, আবার কখনও টাকার লোভ দেখিয়ে এই কারবার চলে।
একটু ভালোভাবে বাঁচার আশায় তাই অনেক সময়েই নিজেদের অজান্তে এই দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে যায় শিশু, মহিলারা। আর তখনই ঘটে মহা বিপদ। আর এই ধরনের ঘটনা যাতে বন্ধ হয় এবং মানুষ যাতে এব্যাপারে সচেতন হন, সেই উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ।
উল্লেখ্য, এই ওয়েব সিরিজের পরিচালক সাগ্নিক চৌধুরীর বেড়ে ওঠা উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর এলাকায়। মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই স্কুলের নাটক দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে গোবরডাঙা এবং কলকাতার একাধিক থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয় জগতের নামিদামি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাঁর।
থিয়েটারের পাশাপাশি কলকাতা এবং মুম্বইয়ের রুপোলী পর্দায় কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। আর সেই অভিজ্ঞতাকে এই ওয়েব সিরিজে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন সাগ্নিক। 'মশাল' নামের এই হিন্দি ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সাগ্নিক, মেঘনা, বৃষ্টি রায়।
এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৈত্রেয়ী দাস, সোমনাথ ঘোষ, পায়েল ব্যানার্জী, বিয়াশা চক্রবর্তী, পিম্পি দাস, শিশুশিল্পী কৃশানু, অহনারা। এর পাশাপাশি, জঙ্গলমহল বড়ন্তি গ্রামের আদিবাসী শিশুশিল্পীরা এই সিরিজে অভিনয় করেছে। এখন মুক্তির অপেক্ষায় এই ওয়েব সিরিজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন