Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪

‌আদিত্য এল ওয়ান মিশনের নেপথ্যে রয়েছেন এক মহিলা বিজ্ঞানী

Female-scientist

সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘ যাত্রাপথ সম্পুর্ন করে কয়েকদিন আগেই গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছে ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল ওয়ান। আমেরিকার পাশাপাশি ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে এখন রাজত্ব করছে ভারতও। কিন্তু বিরাট কর্মযজ্ঞের মাথায় রয়েছেন এক নারী। তিনি হলেন নিগর শাজি। 

বর্তমানে নিগর শাজির বয়স ৫৯ বছর। আদিত্য-এল ওয়ান মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর তিনি। বিজ্ঞানে তাঁর তুমুল দক্ষতা। কিন্তু দক্ষ এই বিজ্ঞানীর জীবনের যাত্রাপথ খুব মসৃন ছিল না। নিগর শাজির জন্ম তামিলনাড়ুর এক ছোট্ট শহরের কৃষক পরিবারে। 

বাবা শেখ মীরান ছিলেন কৃষক। মা সাইতুন বিবি ছিলেন শুধুই একজন গৃহবধূ। কার্যত, অতি সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠেন নিগর। তবে শিক্ষার প্রতি ছোট থেকেই তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। তাই কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়কে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলেন জীবন সংগ্রামে। 

প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন স্থানীয় এক গার্লস স্কুলে। তারপর মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং রাঁচির বিআইটি থেকে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। 

১৯৮৭ সালে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। ওই বছরই তিনি যোগ দেন সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন নিগর। বিজ্ঞানী হিসেবে নিজের দক্ষতার ছাপ ফেলেছেন একাধিক ক্ষেত্রে। 

এরপরই তাঁর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয় আদিত্য-এল ওয়ান মিশনের, যা তিনি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন। যদিও এর আগেও নানা মিশনের দায়ভার গ্রহণ করার অভিজ্ঞতা ছিল নিগরের। এর আগে ভারতের রিমোট সেন্সির কমিউনিকেশন, স্যাটেলাইট সংক্রান্ত কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। 

তাই দক্ষতা তাঁর রয়েছে বেশ। কর্মজীবনের সঙ্গে বাস্তব জীবনকেও একইভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন নিগর। তাঁর স্বামীও পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কর্মরত তিনি। সন্তানরাও তাঁদের মতোই কৃতী। 

এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। নেদারল্যান্ডে বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত তাঁদের পুত্র। মেয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। প্রায় ৩০ বছর আগে নিজের বাবাকে হারান নিগর শাজি। 

মাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতেই থাকেন শাজি। তাই অতি সাধারণ এক পরিবার থেকে উঠে আসা এই মহিলা আজ গোটা দেশের গর্ব হয়ে উঠেছেন নিজের অজান্তেই। 







‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন