সমকালীন প্রতিবেদন : 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা এবং মানসিকভাবে অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সাড়া ফেলে দিল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লক। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে উপকৃত হলেন উপভোক্তারা।
রাজ্যজুড়ে নতুন আরও এক পর্যায়ের 'দুয়ারে সরকার' শিবির অনুষ্ঠিত হল। সেখানে যথারীতি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথীর মতো নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে লাইন দেন উপভোক্তারা। যদিও ইতিমধ্যেই অনেকেরই এই ধরনের সরকারি প্রকল্পের জন্য আবদন করার কাজ শেষ হয়ে গেছে।
বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা বালিকা বিদ্যালয়ে যে 'দুয়ারে সরকার' এর শিবির বসেছে, সেখানে এবারে অতিরিক্ত হিসেবে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাগদা ব্লকে যেসব প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন, তাদের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র আনার জন্য বনগাঁয় যেতে হয়।
এই ব্লকে অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ থাকলেও বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বনগাঁয় গিয়ে শংসাপত্র আনার ঝঞ্জাট এড়াতে অনেকেই প্রতিবন্ধী শংসাপত্র এখনও জোগাড় করে উঠতে পারেন নি। বিষয়টি জানতে পেরে বাগদা ব্লকের বিডিও হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব পাওয়া আশিষ মন্ডল এব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগী হন।
এব্যাপারে তিনি জানান, বাগদা ব্লকের প্রতিবন্ধী মানুষেরা যাতে এই ব্লকেই প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের জন্য আবেদন করে সেই শংসাপত্র পেতে পারেন, তারজন্য 'দুয়ারে সরকার' শিবিরে উপস্থিত হয়ে তাদের শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সেই অনুযায়ী বাগদার হেলেঞ্চা বালিকা বিদ্যালয়ের শিবিরে চিকিৎসকদের এনে প্রতিবন্ধী মানুষদের শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের প্রতিবন্ধকতার মাত্রা নির্ণয় করে আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়। আর সেখানে ৩২৮ জনের বেশি প্রতিবন্ধী মানুষ শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানালেন।
আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের শংসাপত্র তাদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে বাগদা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। আর এই শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর উপভোক্তারা তাদের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি সুবিধা পাবেন।
বাগদার বিডিও আশিষ মন্ডল এব্যাপারে জানান, 'এই প্রতিবন্ধী মানুষদের মধ্যে ৬০ জন মানসিক প্রতিবন্ধীও ছিলেন। তাদেরকে আলাদাভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।' নিজের ব্লকেই প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা হওয়ায় খুশি আবেদনকারীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন