সমকালীন প্রতিবেদন : নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং, মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক। বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেটার- সকলেই একবাক্যে বলছেন, ছুটি কাটাতে মালদ্বীপ নয়, গন্তব্য হোক ভারতের লাক্ষাদ্বীপ।
একমত দেশের আমজনতারও। সোশাল মিডিয়ায় কার্যত ‘ভারতের শত্রু’ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রটি। এর মধ্যেই চিনে গিয়েছেন মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু।
ইতিমধ্যেই বেজিং তোপ দেগেছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে চিনের কাছে আরও ট্যুরিস্ট চেয়ে বসলেন তিনি। এরই পাশাপাশি এদিন চিনকে ‘নিকটতম বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী’ বলে উল্লেখ করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।
তিনি জানিয়েছেন, 'চিন আমাদের একনম্বরের মার্কেট ছিল প্রাক-করোনা পর্বে। আমার অনুরোধ, সেই জায়গাটা ফের ফিরে পাক চিন।' এদিকে, মালদ্বীপ-ভারত টানাপোড়েনকে কাজে লাগাতে চাইছে চিন।
ইতিমধ্যেই চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বিশেষজ্ঞদের দাবি, 'আঞ্চলিক বস হয়ে উঠতে চায় ভারত।'
'সেই জন্যই দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। চিনের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে বরং ভারতের উচিত নিজেদের বিদেশনীতি নিয়ে আরও ভেবে দেখা।'
'হার-জিতের সমীকরণ দূরে সরিয়ে রেখে আরও মুক্তমনা হতে হবে ভারতকে।' চিনা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নিজের রাজনীতির উপর ভরসা নেই ভারতের। এদিকে, ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দেশের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুইজু।
এই অবস্থায় মালদ্বীপের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চিন সফরের পরেই মোদির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাবেন মুইজু। হয়তো এই সফরই বলবে, আগামী সময়ে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্কের গতিবিধি কেমন হতে চলেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন