সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষক বরুন বিশ্বাস খুনের মামলায় সাক্ষী হিসেবে নিজেকে যুক্ত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানালেন প্রয়াত বরুন বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার এব্যাপারে তিনি বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে এই আবেদন জানালেন।
এদিন বরুন বিশ্বাস খুনের মামলার সাক্ষ্যগ্রহনের কথা ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা এদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহনের কাজ স্থগিত থাকে। ৭ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত। এদিন আদালত চত্ত্বরে হাজির ছিলেন বরুন বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস।
এই মামলায় বরুন বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষের আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত এবং মনোজকুমার সাহা অভিযোগ করেন, ২০১২ সাল থেকে এই মামলার ৪ জন সরকারি আইনজীবীকে বদল করা হয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী অভিযুক্তদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চললেও বরুনের পরিবার বা তাদের পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখছেন না।
এর ফলে বিচারের কাজ সঠিকভাবে এগোচ্ছে না। এই মামলার অন্যতম সাক্ষী বরুন বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস। অথচ তাঁর সাক্ষ্যগ্রহনের বিষয়ে গরিমসি করা হচ্ছে। আজ তাঁর সাক্ষ্যগ্রহনের কথা থাকলেও তাঁকে কোনও সমন পাঠানো হয় নি। ফলে এদিও তাঁর সাক্ষ্যগ্রহনের কাজ হল না।
বরুনের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস জানান, বরুন সাধারণ মানুষের স্বার্থে নানা সামাজিক আন্দোলন করতেন। আর সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। বরুনের বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গী ছিলেন তিনি। ফলে বরুন খুনের বিষয়ে তিনি অনেক বেশি করে সাক্ষ্যপ্রমান দিতে পারবেন।
অথচ শাসক দলের অনেকের নাম প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাঁকে এই মামলায় কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না সিআইডি। এই পরিস্থিতিতে সাক্ষী হিসেবে তাঁর নাম যাতে এই মামলায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়, তারজন্য এদিন আবেদন জানান প্রমিলা। পাশাপাশি, তিনি এই মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন