সমকালীন প্রতিবেদন : হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের মতো এবার থেকে বনগাঁ আদালত চত্ত্বরেও প্রবেশ করতে গেলে দেখাতে হবে পরিচয়পত্র। নিথভূক্ত করতে হবে নিজের নাম। কি কারণে আদালতে আসা, উল্লেখ করতে হবে তাও। নিরাপত্তার স্বার্থে এমনই ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে আগামীদিনে।
আদালত চত্বরে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকান পাট থেকে শুরু করে যানবাহনের কারণে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন আদালতে আসা মানুষেরা। এছাড়াও, আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তাজনিত সমস্যাও প্রশ্নচিহ্নের মুখে। তাই কোনও ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই সতর্ক হল প্রশাসন।
এই গোটা বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সকালে বনগাঁ আদালতের বিচারপতি সহ প্রশাসনিক কর্তারা আদালত চত্ত্বর ঘুরে দেখলেন। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ আদালতের একজন বিচারপতি, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, পুরপ্রধান এবং আইনজীবীরা।
মাঝে মধ্যেই শোনা যায় আদালত চত্বর থেকে মোটরসাইকেল এবং সাইকেল চুরি যাচ্ছে। পাশাপাশি, বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ কয়েক মাস আগে অভিযোগ করেছিলেন, আদালত চত্বরে জাল জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করা হচ্ছে।
এই সমস্ত দিক মাথায় রেখে বনগাঁ আদালতের নিরাপত্তা যাতে আরও বেশি কঠোর হয়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। আর সেই কারণেই এদিন এই উদ্যোগ। এই বিষয় নিয়ে পরিদর্শক দল নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনাও করেন।
বনগাঁ ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাসের কথায়, বনগাঁ আদালত চত্বরে দোকানপাটগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকার কারণে যানবাহনগুলি যত্রতত্র রেখে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন আদালতে আসা সাধারণ মানুষেরা।
এছাড়াও, আদালতের নিরাপত্তা যাতে আরও কঠোর করে সিসি ক্যামেরা বসানো এবং একজন নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়োগ করা যায়, তাহলে আদালত চত্বর সুরক্ষিত থাকবে। সমীর দাস আরও বলেন, 'এই সমস্ত দাবি আমরা পুরসভাকে আগেই জানিয়েছিলাম।'
পুরসভা সেই কথাই সাড়া দিয়ে উদ্যোগী হয়েছে। আর তারপরই এদিন এলাকা পরিদর্শনের ব্যবস্থা হয়। এব্যাপারে বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ বলেন, 'আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে দোকানদারদের এক জায়গায় করে পুনর্বাসন দেব। পাশাপাশি যানবাহন পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করবো।'
আদালতের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি জানান, 'আগামীদিনে পুরসভার পক্ষ থেকে আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হবে। এতে করে যারা আদালতে আসবেন, গেট থেকে প্রবেশ করার আগেই তাদের নাম এবং পরিচয় নথিভূক্ত করে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। সিসি ক্যামেরা লাগানোরও ব্যবস্থা করা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন